রবিবার, নভেম্বর ২৪, ২০২৪
Led01Led05জেলাজুড়েধর্মবিশেষ প্রতিবেদনরাজনীতিসদরসোশ্যাল মিডিয়া

কৌশলে ক্ষোভ ঝাড়লেন ফেরদাউসুর, আ.লীগ’র প্রশ্ন ‘ভয়, নাকি ভুল বুঝতে পারা’

#কারও রক্তচক্ষুকে অন্তত আমরা ভয় পাইনা: মাও. ফেরদাউসুর
#একেক সময় একেক মিশন নিয়া নামে, এগুলা চিন্তা করার সময় নাই: এড. দিপু

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: আগে থেকেই সমাবেশের ব্যানার পোস্টার ছাপানো হয়েছিলো। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারও করা হয়েছে আব্দুল আউয়ালের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং মহানগর উলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা ফেরদাউসুর রহমানসহ অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মামলা প্রতিবাদের বিক্ষোভ সমাবেশ হবে। কিন্তু জুম্মার নামাজ শেষ হতেই সেই সমাবেশ স্থগিত ঘোষণা করেছেন নারায়ণগঞ্জ উলামা পরিষদ।


এদিকে পূর্বের বিক্ষোভ সমাবেশ স্থগিত করেও একই জায়গায়, ফরিদপুরের মধুখালীর পঞ্চপল্লির কালি মন্দিরে আগুনকে কেন্দ্র করে শ্রমিকদের পিটিয়ে হত্যার ঘটনার, নিন্দা জানিয়ে অন্য একটি সমাবেশ ঘোষণা দেয় ওলামা পরিষদের নেতৃবৃন্দ। কিন্তু সেই সমাবেশে হত্যার ঘটনায় অনুষ্ঠিত হলেও মহানগর উলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা ফেরদাউসুর রহমানের বক্তব্যে ঘটনার কোন স্পষ্টতা খুঁজে পাওয়া যায়নি। পুরো বক্তব্য জুড়েই ছিলো সিটি কর্পোরেশনের দায়ের করা চুরির মামলা কেন্দ্রীক ঘায়েল করা বক্তব্য। মিছিলে তাকে অংশগ্রহন করতে দেখা গেলেও বক্তব্যর মধ্যে তিনি তার মূল উদ্দেশ্য হাসিল করেছেন। তবে, আওয়ামী লীগ নেতারাদের মন্তব্য ‘হয়তো ভয় পেয়ে সমাবেশ স্থগিত করেছে, নয়তো নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে’।

এদিকে ফরিদপুরের শ্রমিকদের পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আয়োজিত সমাবেশে, নারায়ণগঞ্জ মহানগর ওলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা ফেরদৌসুর রহমান বলেন, আমরা রাজপথের লোক। আগেও ছিলাম এখনোও আছি। কারও রক্তচক্ষুকে আমরা ভয় পাই না আগেও প্রমান দিছি এখনোও প্রমাণ দেই। কারও রক্তচক্ষুকে অন্তত আমরা ভয় পাইনা। কে কি কয় এগুলা হুননের (শোনার) সময় আমাদের নাই। চামচামি করবেন করেন। আপনারা ব্যবসা করবেন, আপনারা বাণিজ্য করবেন, আপনারা পার্ক বানাইবেন, আপনারা সুইমিং পুল বানাইবেন কোন আপত্তি নাই। কসম খোদার ইসলামে আঘাত দিবেন একটাকেও ছাড় দিবো না।

তিনি বলেন, ইসলামের ব্যাপারে কারো সঙ্গে কোন আপস নাই। আমরা কাউকে চিনি না, ইসলামের ব্যাপারে বিন্দু পরিমান আঘাত আমরা সহ্য করবো না ইনশাআল্লাহ। সেদিনকার ঘটনা কী হয়েছে আব্দুল আউয়াল সাহেব বলেছেন। এগুলা ভুয়া মামলা, মিথ্যা মামলা সবাই জানে। ওই ঘটনার মামলায় ১৪জনকে এরেস্ট করেছে। মামলা দিবে ঠিকাদার বা মামলা করবে রেস্টুরেন্টের মালিক। এখানে সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা মামলা দেয় কিভাবে। মামলাই তো অবৈধ।

তিনি আরও বলেন, ওইদিন আমি ছিলাম সুনামগঞ্জে, ওইদিন আমি আইসা হামলা করে আবার চলে গেলাম! এগুলা বইলা মানুষরে হাসাইয়েন না। আর উনার (মেয়রের) সাথে যেসব দালালরা থাকে, আবুদ্ধি-কুবুদ্ধি দিয়া নারায়ণগঞ্জ শহরকে উত্তপ্ত কইরেন না। কসম আল্লাহর খোদার এই নারায়ণগঞ্জ শহরকে আমরা উত্তপ্ত করি না। এই মামলা কারা দিলো সর্বপ্রথম,কারা উষ্কানি দিলো। কারা এগুলো করেছে খুঁজে বের করুন, সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। আমরা কারো রক্তচক্ষুকে ভয় পাইনা।

তার এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে এক প্রতিক্রিয়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য এড.আনিসুর রহমান দিপু বলেন, তারা এতো হুমড়ি দামরি করে মামলার প্রতিবাদে সমাবেশ ডাকলো, তাহলে এটা স্থগিত করলো কেনো? তারা কি তাহলে তাদের ভুল বুঝতে পারছে নাকি ভয় পেয়েছে। এটা কি এমন যে, আমি এতোদিন যা বলেছি মিথ্যা বানোয়াট কথা বলেছি তাই সরে দাঁড়ালাম, নাকি ভয়ে পেয়েছে। এখানে কেউ কাউকে রক্তচক্ষু দেখায় নাই, বরং তাড়াই অমুক তমুক চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিছে, বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে আসে। আসলে তাদের ব্যাপারটা আমরা জানি ‘গর্জন হলো কিন্তু বৃষ্টি পড়লো না।

তিনি আরও বলেন, তাকে কে রক্তচক্ষু দেখাইছে এটা সেই জানে, তাকে ভয় পাইতেই বা বলছে কে। আমরা নারায়ণগঞ্জকে ভয়ের শহর রাখতে চাইনা। আমরা নারায়ণগঞ্জকে একটি শান্তির শহর রাখতে চাই। তারা মানুষ এখন ওরে (মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান) চিনে, ওই কখন কি বলে এটা বুঝা মুশকিল। সকালে যে কথা বলে বিকালে সে কথায় থাকে না। একেক সময় একেক মিশন নিয়া নামে, এগুলা নিয়া চিন্তা করার সময় আমাদের নাই। আমাদের কথা হলো মানুষ শান্তিতে থাকতে চায়, শান্তিতে থাকুক। এখানে বিশেষ মিশন নিয়া, বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়া কেউ কিছু করতে চাইলে। আমরা সরকারি দল হিসেবে, নারায়ণগঞ্জের নাগরিক হিসেবে আইনশৃঙ্খলা বাহীনির সহযোগীতা করা। মানুষের জান মালের ক্ষতি আমরা চাইবো না, নারায়ণগঞ্জবাসীকে নিয়ে আমরা যে কোন অপশক্তির প্রতিরোধ করবো, অতিতেও করেছি আগামীতেও করবো।

RSS
Follow by Email