ঈদকে কেন্দ্র করে অস্থির মাংসের বাজার
লাইভ নারায়াণগঞ্জ: পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে বাজারে বৃদ্ধি পেয়েছে নানা ধরনের মাংসের দাম। এখন বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগী বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকায়। অথচ এক সপ্তাহ আগেও ব্রয়লার মুরগী প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছিল ২১০-২১৫ টাকায়। বাজারে বিক্রেতারা জানায়, ঈদে মাংসের বাজারে বাড়তি চাপ থাকে, এজন্য দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরদিকে ক্রেতারা জানায়, ব্যবসায়ীরা ইচ্ছে করে মন গড়া দাম বসিয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) নগরীর দ্বিগুবাবুর বাজারে সরেজমিনে ঘুরে এরকম তথ্যই পাওয়া যায়। তবে, দাম বৃদ্ধি পেলেও বাজারের মাংসের দোকান গুলোতে ক্রেতা সমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো।
সরেজমিনে মাংসের বাজার ঘুরে জানা যায়, গত সপ্তাহের ব্যবধানে বিভিন্ন প্রজাতির মুরগীর দাম বেড়েছে ৪০-৭০ টাকা। বর্তমান বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগী ২৬০ টাকা, কক মুরগী ২৮০ টাকা, লাল লেয়ার মুরগী ৩৬০ টাকা, প্যারেন্ট খাসি মুরগী ৪০০ টাকা ও প্যারেন্ট খাসি মোরগ ৪৪০ টাকা।
এছাড়া বাজারে গরু ও খাসির মাংসের দোকান গুলোতে ক্রেতাদের বেশ ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। দাম বৃদ্ধি পেলেও দিশেহারা ক্রেতারা অতিরিক্ত মূল্যেই মাংস কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। বর্তমান বাজারে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিলো ৭৫০ টাকায়। বাজারে খাসির মাংস প্রতি কেজি ১২০০ টাকা। এছাড়া ভেড়া ও বকরি প্রতি কেজি ১০৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দ্বিগুবাবুর বাজারে মাংস বিক্রেতা মোঃ বাদল জানায়, পূর্বেই বলেছিলাম ঈদের আগে মাংসের দাম বৃদ্ধি পাবে। গত সপ্তাহে মাংস প্রতি কেজি ৭৫০-৭৮০ টাকায় বেচেছি। এখন ৮০০ টাকা কেজি তে মাংস বিক্রি করতে হচ্ছে।
বাজারে মুরগী বিক্রেতা সোবহান মিয়া জানান, বাজারে দৈনিক মুরগীর দাম উঠা-নামা করে। গত সপ্তাহেও দাম কম ছিল। ঈদের আগে বাজারে মুরগীর চাহিদা থাকে। এখন খামারিরা দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে। যে জন্য আমাদের বেশি মূল্যে বিক্রি করতে হচ্ছে।
বাজারে আসা ক্রেতা রিয়াজুল ইসলাম জানান, আমি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে স্বল্প বেতনে চাকুরি করে। এ বেতনে পরিবারের খরচ চালানো বেশ কষ্টসাধ্য। কিন্তু ঈ্দ উপলক্ষ্যে বাজার যা করব, সব কিছুরই দাম বেশি। সে কবে ৫ কেজি গরুর মাংস কিনেছি, তা এখন মনেই পড়ে না। আমার ছেলেটার জন্য শুধু মাংসের বাজারে আসা, তা নইলে আসতাম না। কি হবে মাংস না খেলে!
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. সেলিমুজ্জামান বলেন, আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। কেউ অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি করলে, তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।