‘মানুষের মনে জায়গা করে নিলে পোস্টার ছিড়ে কি হবে’
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম বলেন, আমি যখনই ঈদ শুভেচ্ছার পোস্টার দেই, সেখানে শামীম ওসমানের নামে দেই এবং নিচে কয়েকজনের নাম থাকে। নিজের ছবি দিয়ে পোস্টার আমি খুব কম করি। এবারও সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা দিয়ে পোস্টার করেছি। কিন্তু দেখা যাচ্ছে অনেক জায়গার পোস্টার ছিড়ে ফেলা হয়েছে। আমি যদি মানুষের মনে জায়গা করে নিতে পারি তাহলে পোস্টার ছিড়ে কি হবে।
সোমবার (৮ এপ্রিল) বিকেলে ফতুল্লার সাইনবোর্ড শন্তিধারা এলাকায় এক ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।
ইফতার মাহফিলে তিনি আরও বলেন, ভোট নিয়ে আমার কোন চিন্তা নেই। আমার আল্লাহর উপর ভরসা আছে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের রহমত যার ওপর নাযিল হবে সেই নির্বাচিত হবে। এটাই আমি বিশ্বাস করি। এ রমজান মাসে আমরা চেষ্টা করব বেশি বেশি আমল করার। আমরা সবাই যদি দেশের এবং মানুষের কল্যাণে কাজ করে তাহলে এই দেশ আগাবে তাহলে সমাজ আগাবে। অনেকেই শুভেচ্ছার জন্য পোষ্টার করে। আমিও ঈদ শুভেচ্ছার পোস্টার দিয়েছে কিন্তু নিজেরটা কখনো দেইনি। আমি যখনই ঈদ শুভেচ্ছার পোস্টার দেই, সেখানে শামীম ওসমানের নামে দেই এবং নিচে কয়েকজনের নাম থাকে। নিজের ছবি দিয়ে পোস্টার আমি খুব কম করি। এবারও সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা দিয়ে পোস্টার করেছি। কিন্তু দেখা যাচ্ছে অনেক জাগার পোস্টার ছিড়ে ফেলা হয়েছে। আমি যদি মানুষের মনে জায়গা করে নিতে পারি তাহলে পোস্টার ছিড়ে কি হবে।
তিনি আরও বলেন, আমি তো মানুষের মনে জায়গা করতে এসেছি। আমি চেষ্টা করে মানুষ মানুষকে খুশি করে মানুষকে সন্তুষ্ট করে সৃষ্টিকর্তাকে খুশি করা। আমি যার সাথে রাজনীতি করেছি জনাব একে এম শামীম ওসমান। তিনি আমাকে রাজনীতি শিখিয়েছেন মানুষের ও সমাজের কল্যাণের। তিনি শিখিয়েছেন কিভাবে মানুষকে ভালোবাসা যায়। আমি শুধু এখানে আপনাদের দোয়ার জন্য এসেছি, আপনাদের কাছে দোয়া চাই। আমরা যেন সবাই ভালো থাকতে পারি। নিজের সম্পূর্ন পরিবার হারিয়েও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের বাংলাদেশ করার জন্য যিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন সেই শেখ হাসিনার জন্য আপনারা সবাই দোয়া করবেন। আপনার দোয়া করবেন শামীম ওসমানের জন্য যিনি আপনাদের কথা চিন্তা করে দিনরাত না খেয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করেন।
শাহ নিজাম বলেন, কিছুদিন আগেও এলাকার মানুষ পানির নিচে থাকতো। আমি নিজেও দেখেছি বর্ষা এলেই এই এলাকার মানুষ পানির নিচে তলিয়ে থাকতো। ঘরের খাটের নিচে ইট দিয়ে খাটকে উঁচু করে মানুষ থাকতো। যখন এই জিনিসগুলো শামীম ওসমানের কাছে পৌঁছে দিলাম। তিনি নিজে আসলেন দেখতে। এগুলো দেখে উনি প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে এই এলাকায় ডিএনডি প্রকল্প বাস্তবায়ন করলেন। যেই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে এলাকার মানুষ দুর্গন্ধ, ময়লাযুক্ত পানির জলবদ্ধতা থেকে রক্ষা পেয়েছে। উনি বঙ্গবন্ধু প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং শেখ রাসেল মেডিকেল কলেজ পাশ করিয়েছেন মন্ত্রণালয় থেকে। এই জিনিসগুলো করছেন কারণ এই নারায়ণগঞ্জের মানুষগুলোকে শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য। আমাদের সন্তানদের যেন আর ঢাকায় গিয়ে পড়তে না সেই ব্যবস্থা করছেন একেএম শামীম ওসমান। আজ প্রায় ৩৮-৩৯ বছর হল একই সাথে পথ চলা। আমি শামীম ওসমানের মত ভাল লোক দেখিনি।