নগরীর সমস্যা সমাধানে এনসিসিকে যে পরামর্শ দিলেন শামীম ওসমান
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নগরীর যানজট ও হকার সমস্যাসহ বিভিন্ন সমস্যায় কাজ করার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান। েতিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের যানজট একটা সমস্যা, এছাড়া আর কোন সমস্যা নাই। আমি এটা বিশ্বাস করি না। আলোচনা করে সবগুলি পার্ট বাই পার্ট সলভ করা উচিত। যানজট নিয়ন্ত্রনে দুই সেক্টর কাজ করবেন এবং এর একটি হলো সিটি কর্পোরেশন। সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা মিলে চাহিদাপত্র তৈরী করবেন। শহরের সমস্যা গুলো সেই চাহিদাপত্র তুলে ধরবেন এবং জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের নিকট তা জমা দিবেন।
সোমবার (৮ এপ্রিল) বিকেএমইএ‘র ভবনে প্রেস ক্লাবের আয়োজনে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ নজরুল ইসলাম বাবু, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীলসহ বিভিন্ন পেশার নেতৃবৃন্দ।
এসময় শামীম ওসমান আরও বলেন, আমার বড় ভাইয়ের ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা নিয়ে ৪৫ লক্ষ টাকা পুলিশকে দিয়েছেন যানজট নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু আমরা প্রশ্ন হলো, কেন টাকা দিতে হবে। এটাতো এমপির দায়িত্ব না, সরকারই তো এর জন্য টাকা দেয়। হকারদের ক্ষেত্রে আমি আগেও বলেছি, এরা বসলে সব জায়গায় বসবে আর নয়তো কোথাও বসবে না। আমি মানুষের পেটের ধাক্কা দিতে রাজি না। আবার শহরকে অবৈধ বানাতে রাজি না। আমরা সেই সহযোগিতা করবো সিটি কর্পোরেশনকে। সিটি কর্পোরেশন জেলা প্রশাসনের কাছে চাহিদা পত্র দিবে, যেখানে বলবে আমরা এটা এবং সেটা লাগবে। সেই প্রেক্ষিতে প্রশাসন ব্যবস্থা নিবে।
এমপি বলেন, সাধারণ গরীব মানুষের উপর জোর খাটিয়ে কাজ করা আমার পক্ষে সম্ভব না। যদি আমি হকারদের আশ্রয় দিতাম তাহলে তারা সেখানে বসতো। আমার কাছে আজ পর্যন্ত তারা কথা বলতে পারে নাই। তারা আসলেই আমি তাদের ধমক দিই যাতে ওরা চলে যায়। সৃষ্টিকর্তা বলেছেন মানুষের জন্য কারো, সৃষ্টির জন্য করো। সব জায়গায় এটা বলা আছে বেশি বেশি দান করো। নগরীর যে সমস্যা হয় এটা নিয়ে আমরা সবাই মিলে কাজ করতে পারি। কিভাবে একটা একটা করে কন্ট্রোল করে সমস্যার সমাধান করতে হবে সেটা আমাদের সবাই বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এখন এমন কিছু বলতে চাই না যার জন্য মৃত্যুর পর কেয়ামতের দিন আমার আল্লাহর কাছে জবাব দিতে হয়।