দিন ব্যাপি ঢাকা-না.গঞ্জ সড়কে যাত্রী পরিবহন সংকটে হাজারো মানুষের ভোগান্তি
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: রাজধানীতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে তীব্র পরিবহন ভোগান্তির শিকার হয়েছে নারায়ণগঞ্জগামী হাজারো সাধারণ মানুষ। পরিবহন না পেয়ে অনেকে বাইতুল মোকাররম জামে মসজিদ থেকে যাত্রাবাড়ী ব্রীজ পার হয়েছেন পায়ে হেটে। পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা যেতেও ভোগান্তিতে পরেছে যাত্রীরা।
নারায়ণগঞ্জের ২নং রেল গেট, চাষাঢ়া, সাইনবোর্ড, রাজধানীর শনির আখড়া, যাত্রাবাড়ী, গুলিস্তান এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
জানা গেছে, বুধবার (১২ জুলাই) একই দিনে বৃহত্ত সমাবেশের আয়োজন করে বর্তমান ক্ষমতাশীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। সমাবেশে যোগ দিতে সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসতে শুরু করে দুই দলের নেতাকর্মীরা। এতে পরিবহন হিসেবে অনেকেই ভাড়া করে বাস, মিনিবাসসহ বিভিন্ন পরিবহন। আর এতেই দেখা দেয় পরিবহন সংকট।
সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, অনেকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত আসতে পারলেও সেখানে পাওয়া যাচ্ছিলোনা নারায়ণগঞ্জগামী কোন পরিবহন। খুব অল্প সংখ্যাক যে পরিবহন গুলো যাত্রী নিচ্ছিলো সেগুলোতেও যাত্রীদের ভিড় ছিলো ধারণ ক্ষমতার চেয়ে কয়েকগুন বেশি।
অন্যদিকে, নারায়ণগঞ্জ থেকে ব্যাবসা বা কাজের উদ্দেশ্যে অনেককেই যেতে হয় রাজধানী ঢাকায়। তবে, পরিবহন সংকটের কারনে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন পয়েন্টে ছিলোনা যাত্রী অনুপাতে পরিবহন। তাই বিভিন্ন পন্থায় ভেঙ্গে ভেঙ্গে গন্তব্যে গিয়েছেন তারা।
এদিকে, পরিবহনের কমতি থাকার সুযোগ নিয়ে হটাৎ করেই ভাড়া বাড়িয়ে দেয় বাস, লেগুনা, সিএনজি, অটোসহ অন্যান্য পরিবহন। আর এতে করে আরও বৃদ্ধি পায় ভোগান্তি।
কথা হয় চাষাঢ়া বাসস্ট্যান্ডে দাড়িয়ে থাকা নগরীর আমলাপাড় এলাকার এক যুবক সুমনের সাথে। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করায় প্রতিদিন তাকে যেতে হয় রাজধানীর মতিঝিলে। তিনি বলেন ‘অনেকক্ষন যাবত দাঁড়িয়ে আছি কিন্তু একটি বাসও পাচ্ছি না। যেগুলো দেখছি সবই কানায় কানায় ভর্তি। আর সুযোগ বুঝে সিএনজি চালকরা সাইনবোর্ড পর্যন্ত ৩০টাকার ভাড়া বাড়িয়ে করেছে ৫০ টাকা।’
মো. লোকমান মিয়া নামের এক ব্যাক্তি জানান, ‘প্রতিদিন ব্যবাসায়ীক কাজে ঢাকায় আমার যাওয়া আসা। তবে, আজ যাওয়ার কোন অবস্থাই দেখছিনা। একে তো বাস বা অন্য কিছু পাচ্ছি না, অন্যদিকে ভাড়া বাড়িয়ে বসে আছে তারা। কিন্তু যেতে তো হবেই।’
ঢাকার গুলিস্তান এলাকায় দাঁড়িয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন নগরীর জামতলা এলাকার বাসীন্দা আব্দুস সোবহান। তিনি জানান, ‘কমলাপুর থেকে হেটে এখানে এসেছি বাসের আশায় কিন্তু এখানে একটি বাসও পাচ্ছি না। হোন্ডার ভাড়াও দিগুনের বেশি করে চাওয়া হচ্ছে। মনে হচ্ছে পায়ে হেটেই যেতে হবে শানির আখড়া পর্যন্ত। সেখানে যদি কোন বাস পাই তাহলে ভালো।’