দেশে ৬ লক্ষ ১৫ হাজার ফ্রিল্যান্সার: প্রতিমন্ত্রী পলক
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আমাদের সজীব ওয়াজেত জয়ের নির্দেশনায় বিগত ১৫ বছরে আমাদের দেশে ৬ লক্ষ ১৫ হাজার ফ্রিল্যান্সার দাঁড় করাতে পেরেছি। ৫০ হাজারেরও বেশি বিভিন্ন ডিভাইস মেনুফ্যাকচার অ্যাসেম্বলিং এর প্রজেক্টে কাজ করছে ছেলেমেয়েরা। আর এই সব সম্ভব হয়েছে মাত্র ১৫ বছরের ব্যবধানে।
শুক্রবার (৮ মার্চ) বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে প্রযুক্তির কল্যাণে নারীর ক্ষমতায়ন ল্যাপটপ বিতরণ অনুষ্ঠান। এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, এখানে সেলিম ওসমান আছেন, সে তার মেধা এবং শ্রম দিয়ে নানা প্রতিষ্ঠান দাড় করিয়েছেন। সেখানে হাজার হাজার পরিবার কাজ করে আর্থিক ভাবে স্বচ্ছলতা পারতো হচ্ছে। এই জন্যই আমাদের প্রধানমন্ত্রী আমাদের বলে থাকেন, আমাদের জব সিকার নয় জব ক্রিয়েটর হতে হবে। আমরাও আজ তাই বলছি। আমরা কর্মসন্থান না খুঁজে , নিজে তৈরী করতে হবে। আমরা চাকরি না খুঁজে, নিজের উদ্ধক্তা হতে পারি।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, বিভিন্ন উপজেলার ২৬৫ জন সফল নারী স্মার্ট উদ্যোক্তা এসেছেন। একজন যদি চাকরি করে তাহলে সে শুধু একটি পরিবারকে আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল করলো, কিন্তু একজন উদ্যোক্তা, তার উদ্যোগে একাধিক পরিবারের আর্থিক ভাবে স্বচ্ছলতা বৃদ্ধি করে। আমাদের আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ভাইয়ের নির্দেশনায় বিগত ১৫ বছরের সারা দেশের সুলভ মূল্যে ইন্টারনেট দিয়েছে। যার ফলে আজ ১৩ কোটি মানুষের বেশি লোক সুলভ মূল্যে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছে। আমাদের বিভিন্ন সরকারি সেবা গুলোকে ইন্টারনেট মাধ্যমে দেয়ার চেষ্টা করেছি। বিগত ১৯৯২ সালের যে সরকার ছিলেন তার মধ্যে নূনতম জ্ঞানটুকু ছিলো না তাই সাবমেরিন কেবল নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়নি। কিন্তু আমাদের প্রধাণমন্ত্রী সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আজ আমরা নিজেদেরকে ডিজিটাল বাংলাদেশের পর স্মার্ট বাংলাদেশ করার মশিনে নামতে পেরেছি। আমি সংসদভবন থেকে আমার নারায়ণগঞ্জ আসতে সময় লাগলো মাত্র ৪০ মিনিট। কিন্তু আজ থেকে ১৫ বছর আগে তা সম্বভ ছিলো না।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, যে ছেলে আরেকজন মেয়েকে সম্মান দিতে পারে না, যে স্বামী তার স্ত্রীকে মর্যাদা দিতে পারে না, সে কখনোই নিজেকে স্মার্ট হিসেবে দাবি করতে পারেন না। প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, পরিবারে একজন চাকুরি করলে একটি পরিবারই স্বাবলম্বী হন, কিন্তু কেউ উদ্যোক্তা হলে তার অধীনে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়। আইটি সেক্টরে সবমিলিয়ে আমাদের ত্রিশ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। প্রশিক্ষণ, পুঁজি, প্রযুক্তির সাথে তারুণ্যের মেধাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের তরুণ—তরুণীরা দেশের চাহিদা মিটিয়ে উন্নত দেশের চাহিদানুযায়ী ফ্রিল্যান্সিং করবে।
এসময় অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হকের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিশেষ অতিথি নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান, জেলা পরিষদের চেয়াম্যান চন্দনশীল, জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন প্রমূখ।