অভিযোগ নিয়ে না.গঞ্জ এসপি অফিসে তৈমূর
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নিজের নির্বাচনী এজেন্টের বাড়ি-ঘরে হামলার অভিযোগ নিয়ে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব এড. তৈমূর আলম খন্দকার।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসন থেকে এমপি প্রার্থী ছিলেন তৈমূর আলম খন্দকার
বুধবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে ভুক্তভুগি ফাতেমা বেগম ও তার পরিবারকে নিয়ে তিনি পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেলের সাথে সাক্ষাৎ করেন।
অভিযোগের বিষয়ে এড. তৈমূর বলেন, ‘রূপগঞ্জের দুটি সন্ত্রাসী বাহিনী শমসের ডাকাত ও রীতা মেম্বার। আমরা বারবার নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনকে বলে এসেছি। আমাদের কাছে ডকুমেন্টস আছে। আমরা বলেছি এরকম সিরিজ মামলার আসামিদের আইনের আওতায় আনা হোক। কিন্তু আমরা কোন প্রতিকার পাইনি। নির্বাচনের দিন চনপাড়ায় রেজাল্ট ঘোষণার পর সমশের বাহিনী ও রিতা বাহিনী আমার কর্মীদের বাড়িঘর লুটপাট করে। আমি আজ এই পরিবারটিকে নিয়ে এসপি অফিসে এসেছি। যেহেতু তারা আমার নির্বাচন করতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসপি সাহেব আশ্বস্ত করেছেন যে তারা নির্বিঘ্নে চনপাড়ায় বসবাস করতে পারবে। তিনি ওসিকে ফোনে নির্দেশনাও দিয়েছেন।
এদিকে, অভিযোগে ভুক্তভুগি উল্লেখ করেন, আমি ফাতেমা বেগম দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ থেকে তৃণমূল বিএনপি মনোনীত জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ড. তৈমুর আলম খন্দকারের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারনা করি। ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের চনপাড়া কেন্দ্র ঘোষিত প্রাথমিক ফলাফল ঘোষনা হওয়ার পর পরই চনপাড়ার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও সিরিজ জঘন্য মামলার আসামী শমসের ও রীতা বাহিনী আমাকে ও আমার পরিবারকে মারপিট করার হুমকি প্রদান করে ও আমার বাড়ীর যাবতীয় মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। আমার যুবতী ২ কন্যাকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে বেইজ্জতি করার হুমকি দেয়।
এমতাবস্থায়, লুষ্ঠিত মালামাল উদ্ধার, আমার পরিবারকে সম্পূর্ণ নিরাপত্তা দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ এবং মারপিট করার হুমকি প্রদানের অভিযোগসহ লুটেরাদের বিরুদ্ধে অত্র এজাহার গ্রহণ করার জন্য আপনাকে অনুরোধ করা হলো। উক্ত সন্ত্রাসীদের ভয়ে আমি এলাকা ছাড়া হওয়ায় অত্র এজাহার দায়ের করতে বিলম্ব হইল।