নারায়ণগঞ্জে চাহিদার তুলনায় কম কোরবানির পশু
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: বাংলাদেশের অন্যতম ধনী জেলা বলা হয় নারায়ণগঞ্জকে। শিল্প কারখানা সমৃদ্ধ এই জেলায় কোরবানিদাতার সংখ্যাও বেশি। তবে, এবার নারায়ণগঞ্জে চাহিদার তুলনায় অর্ধেক রয়েছে কোরবানির পশু। এক্ষেত্রে চাহিদা মেটাকে করতে হবে আমদানি।
যদিও শেষ পর্যন্ত কোন ঘাটতি থাকবে না, বলছেন প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা।
জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, গতবারের তুলনায় এবার নারায়ণগঞ্জে বেড়েছে কোরবানির পশুর চাহিদা। গতবার নারায়ণগঞ্জে মোট গরু কোরবানি হয় ১লাখ তিন হাজার। অন্যদিকে, এবার নারায়ণগঞ্জে কোরবানির পশুর চাহিদা ১ লাখ ৬৬ হাজার ৮০৩। চাহিদার তুলনায় জেলার খামারগুলোতে কোরবানির পশু রয়েছে ৭১হাজার ২৩৫টি।
জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি উপজেলায় প্রায় ১০ হাজার খামারি রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৪৩২৭জন রেজিস্টার্ড ও বাকিগুলো মৌসুমি খামারি। এসব খামারে খামারিরা ৪৩হাজার ৬৬০টি ছাগল, ১৩৩৩টি ভেড়া ও ২৫হাজার ৯৮৯টি গরু লালন পালণ করে কোরবানির উপযোগী করে তুলেছেন। এর মধ্যে থ্রিস্টার ফার্ম হাউজ, আরকে অ্যাগ্রো, আমানা ক্যাটেল, তানিয়া ক্যাটেল, খন্দকার ক্যাটেল, ছায়েদ আলী অ্যাগ্রো ও প্রার্থনা অ্যাগ্রো অন্যতম।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: মুহাম্মদ ফারুক আহমেদ বৃহস্পতিবার (১৬ মে) লাইভ নারায়ণগঞ্জকে বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলাটি ছোট হলেও, এটি একটি ঘণবসতিপূর্ণ এলাকা। চাহিদার তুলনায় আমাদের পশু প্রস্তুত আছে ৭১হাজার ২৩৫টি। এর মধ্যে আরও কিছু পশু আনার ব্যবস্থা খামারিরা করছে। আশা করা যাচ্ছে এবারও শেষ পর্যন্ত কোন ঘাটতি থাকবে না। যেতটুকু চাহিদা সেটুকু পুরণ হয়ে যাবে।