২৯ পণ্যের যৌক্তিক মূল্য বেধে দিলো সরকার
#নতুন মূল্য মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিন
#ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে প্রতিনিয়ত মনিটরিং থাকবে
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: কোনো একটি অজুহাত পেলেই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বাড়িয়ে দেয়া হয়। রোজা, ঈদে তো দ্রব্যেমূল্য ভয়াবহ রূপ নেয়। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অস্বাভাবিক এবং আকস্মিক মূল্যবৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের জন্য এখন ‘মরার উপর খাড়ার ঘা’। বাজারে চাল, ডাল, তেল, নুন, পেঁয়াজ, শাকসবজি থেকে শুরু করে এমন কোনো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য নেই, যার দাম বাড়ছে না। নিম্নআয়ের মানুষ যা আয় করছে, তার পুরোটাই জীবনধারণের জন্য ন্যূনতম খাদ্যদ্রব্য ক্রয় করতেই শেষ হয়ে যাচ্ছে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য দাম নিয়ন্ত্রণ করতে নানা রকমের পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন। সরেজমিন উপস্থিত থাকার পাশাপাশি বিভিন্ন ছায়া তদন্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় কৃষি বিপণন আইন ২০১৮ অনুযায়ী, ২৯ টি পণ্যের যৌক্তিক মূল্য বেধে দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর,নারায়ণগঞ্জ ।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক মো. মাসুদ করিমের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলার কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা (সংযুক্ত) মো. আতিকুল ইসলাম।
প্রজ্ঞাপনে নিত্য প্রয়োজনীয় কৃষি পণ্যের উৎপাদন খরচ এবং যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত এই দামে কৃষি পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করার অনুরোধ করা হয়েছে।
মুগ ডাল পাইকারী বাজার মূল্য ১৫৮.৫৭ টাকা ও খুচরা ১৬৫.৪১, মাসকালাই পাইকারী বাজার মূল্য ১৪৫.৩০ টাকা ও খুচরা ১৬৬.৪১, ছোলা (আমদানিকৃত) পাইকারী বাজার মূল্য ৯৩.৫০ টাকা ও খুচরা ৯৮.৩০, মসুরডাল (উন্নত) পাইকারী বাজার মূল্য ১২৫.৩৫ টাকা ও খুচরা ১৩০.৫০, মসুরডাল (মোটা) পাইকারী বাজার মূল্য ১০০.২০ টাকা ও খুচরা ১০৫.৫০, খেসারিডাল পাইকারী বাজার মূল্য ৮৩.৮৩ টাকা ও খুচরা ৯২.৬১,
পাংগাস (চাষের মাছ) পাইকারী বাজার মূল্য ১৫৩.৩৫ টাকা ও খুচরা ১৮০.৮৭, কাতল (চাষের মাছ) পাইকারী বাজার মূল্য ৩০৩.০৯ টাকা ও খুচরা ৩৫৩.৫৯, গরুর মাংস কেজি পাইকারী বাজার মূল্য ৬৩১.৬৯ টাকা ও খুচরা ৬৬৪.৩৯, ছাগলের মাংস পাইকারী বাজার মূল্য ৯৫২.৫৮ টাকা ও খুচরা ১০০৩.৫৬, বয়লার মুরগী পাইকারী বাজার মূল্য ১৬২.৬৯ টাকা ও খুচরা ১৭৫.৩০, সোনালী মুরগী পাইকারী বাজার মূল্য ২৫৬.১০ টাকা ও খুচরা ২৬২, ডিম (পিস) পাইকারী বাজার মূল্য ৯.৬১ টাকা ও খুচরা ১০.৪৯,
দেশী পেঁয়াজ কেজি পাইকারী বাজার মূল্য ৫৩.২০ টাকা ও খুচরা ৬৫.৪০, দেশী রসুন কেজি পাইকারী বাজার মূল্য ৯৪.৬১ টাকা ও খুচরা ১২০.৮১, আদা আমদানিকৃত পাইকারী বাজার মূল্য ১২০.২৫ টাকা ও খুচরা ১৮০.২০, শুকনো মরিচ কেজি পাইকারী বাজার মূল্য ২৫৩.২৬ টাকা ও খুচরা ৩২৭.৩৪, কাঁচামরিচ কেজি পাইকারী বাজার মূল্য ৪৫.৪০ টাকা ও খুচরা ৬০.২০, বাঁধাকপি কেজি পাইকারী বাজার মূল্য ২৩.৪৫ টাকা ও খুচরা ২৮.৩০, ফুলকপি কেজি পাইকারী বাজার মূল্য ২৪.৫০ টাকা ও খুচরা ২৯.৬০, বেগুন কেজি পাইকারী বাজার মূল্য ৩৮.২৫ টাকা ও খুচরা ৪৯.৭৫, সিম কেজি পাইকারী বাজার মূল্য ৪০.৮২ টাকা ও খুচরা ৪৮, আলু কেজি পাইকারী বাজার মূল্য ২৩.৩০ টাকা ও খুচরা ২৮.৫৫, টমোটো কেজি পাইকারী বাজার মূল্য ৩০.২০ টাকা ও খুচরা ৪০.২০, মিষ্টি কুমড়া কেজি পাইকারী বাজার মূল্য ১৬.৪৫ টাকা ও খুচরা ২৩.৩৮,
খেঁজুর জাহিদী পাইকারী বাজার মূল্য ১৫৫.৫৩ টাকা ও খুচরা ১৮৫.০৭, মোটা চিড়া পাইকারী বাজার মূল্য ৫২.৭৫ টাকা ও খুচরা ৬০, সাগর কলা হালি পাইকারী বাজার মূল্য ২২.৬০ টাকা ও খুচরা ২৯.৭৮ ও বেসন পাইকারী বাজার মূল্য ৯৯.০২ টাকা ও খুচরা ১২১.৩০ টাকা।
নিত্য প্রয়োজনীয় কৃষি পণ্যের উৎপাদন খরচ এবং যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা (সংযুক্ত) মো. আতিকুল ইসলাম লাইভ নারায়ণগঞ্জকে বলেন, আমরা যে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছি,এই দামের চেয়ে বেশী বিক্রি করলে, কৃষি বিপণন আইন ২০১৮ অনুযায়ী যে শাস্তি আছে, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করবো। এছাড়া আপনাদের সংবাদ মাধ্যমের মধ্য দিয়ে যারাই এই খবরটি পাবেন তাদের কাছে অনুরোধ থাকবে আপনারা অন্যান্য মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের নতুন এই বাজার মূল্য নিয়ে বাজারে জেলা প্রশাসকের মেজিষ্ট্রেট নিয়ে আমাদের প্রতিনিয়ত মনিটরিং থাকবে। ইতোমধ্যে আমরা জেলা ভোক্তা অধিদপ্তর, এনএসআই’কে জানিয়ে দিয়েছি, জেলা প্রশাসক মহদয় অবগত আছেন। আমরা এই মূল্য নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা সাপেক্ষ বাজার মনিটরিং করবো।