২৪ ঘন্টায় আরও ৬৫ জন গ্রেপ্তার
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: কোটা সংস্কার আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির ঘটনায় আরও ৬৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। জুলাইয়ের ১৮ হতে ২০ তারিখ (শনিবার) পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ভবন, পুলিশবক্সসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা-অফিস এবং যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়। এসকল ঘটনায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিসহ প্রাণহানির ঘটনা ঘটে এবং এতে গণমাধ্যমকর্মীসহ প্রায় কয়েক শতাধিক আহত হন।
এ ধ্বংসযজ্ঞে জেলার বিভিন্ন থানায় ৫ হাজার ৪৪৩ জনকে আসামি করে ৯টি মামলা করা হয়। বুধবার (২৪ জুলাই) এক প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে পুলিশ জানায় জেলায় বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৩০৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রেস ব্রিফিং এ পুলিশ জানায়, কোটা আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে আসামিরা চাষাঢ়া মোড়, ২নং রেলগেট, সদর থানা, ফতুল্লা থানার জালকুড়ি, ভূঁইগড়, সাইনবোর্ড, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার শিমরাইল, চিটাগাং রোড, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মোড়ে পুলিশের ওপর আক্রমণ, সরকারি অফিস সার্ভিসের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ও পুলিশ পিবিআইএ অফিসেও তারা হামলা করে। এছাড়াও কাঁচপুর মেঘনা টোল প্লাজা, ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করে। সেই সাথে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড এসবি গার্মেন্ট, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন, সাইনবোর্ড হাইয়ে পুলিশ বক্স, বন্দর ধামগড় ফাঁড়ি, জালকুড়ি শীতল বাস ডিপো পুড়িয়ে দেয়। শিমরাইল ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মোড়ে হাইওয়ে পুলিশ বক্সে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এক পর্যায়ে গত ২১ জুলাই পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, সেনাবাহিনী যৌথ অভিযান চালিয়ে নাশকতাকারীদের অপসারণ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) পর্যন্ত প্রায় ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে আরও ৬৫ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) চাউলাউ মারমা লাইভ নারায়ণগঞ্জকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, একদিনের ব্যবধানে আমরা আরও ৬৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। এ নিয়ে গ্রেপ্তার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৭৪ জন। এর আগে, ২৪ জুলাই পর্যন্ত ৩০৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
