সোমবার, অক্টোবর ৭, ২০২৪
Led01Led05আদালত

১৪ অক্টোবর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলায় রায়

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সোনারগাঁয়ে ধর্ষণ মামলায় সাক্ষী সমাপ্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ১৪ অক্টোবর মামলার রায়ের দিন ধার্য করেছেন বিজ্ঞ আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ জেসমিন আরা বেগম মামলার রায়ের দিন ধার্য করেছেন। এই মামলায় ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।

আসামি পক্ষের আইনজীবী এড. একেএম ওমর ফারুক নয়ন বলেন, মামলার ধার্য তারিখ অনুযায়ী মামুনুল হক আদালতে উপস্থিত হয়েছিলেন। কিন্তু গত কয়েক তারিখের মতো এবারও তার বিরুদ্ধে আর কেউ সাক্ষী দিতে আসেননি। যার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আদালতে সাক্ষী সমাপ্ত করে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের আবেদন করি। আদালত আমাদের আবেদন মঞ্জুর করেন। আমরা আদালতকে বলেছি এই পুরো বিষয়টিকে যোগসাজশ করে সংগঠিত করা হয়েছে। যিনি মামলার বাদী তিনি শারীরিক পরীক্ষা দিতে রাজী হননি কারণ তিনি স্বীকার করেছেন মামুনুল হক তার বৈধ স্বামী। একই সঙ্গে বাদীর ছেলে আব্দুর রহমান সাক্ষী দিতে এসে বলে গিয়েছিলেন তার মা মামুনুল হকের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। তাদের ওপর বলপ্রয়োগ করে মামলা করানো হয়েছিলো। আমরা আদালতে আরও বলি মামুনুল হক শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণেই জেল খেটেছেন। আমরা আদালতের কাছে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করি। আশা করি মামুনুল হককে আদালত বেকসুর খালাস দেবেন। আদালত আমাদের বক্তব্য শুনেছেন এবং আগামী ১৪ অক্টোবর রায়ের দিন ধার্য করেছেন।

আদালতের ভারপ্রাপ্ত পাবলিক প্রসিকিউটর এড. মো. রোমেল মোল্লা বলেন, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সাক্ষী শেষ হয়েছে। সেই সাথে যুক্তিতর্কও শেষ হয়েছে। আদালত ১৪ অক্টোবর রায়ের দিন ধার্য করেছেন।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ওই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে তাকে ঘেরাও করেন। পরে স্থানীয় হেফাজতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ভাঙচুর করেন এবং তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকেই মামুনুল হক মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় অবস্থান করে আসছিলেন। এ সময় পুলিশ তাকে নজরদারির মধ্যে রাখে। এরপর ২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মামুনুলকে। পরে এ ঘটনায় ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলা করেন ওই নারী। তবে ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক।

এদিকে চলতি বছরের ৪ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে জামিন আবেদন করলে তৎকালীন বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। এরপর থেকে তিনি সোনারগাঁ থানার এই ধর্ষণ মামলায় জামিনে রয়েছেন।

RSS
Follow by Email