হেনা দাসের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি ও আলোচনা সভা
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: মহান মুক্তিযুদ্ধ, নারী মুক্তির আন্দোলনের নেত্রী ও সংগঠনের সাবেক সভাপতি হেনা দাসের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে জেলা মহিলা পরিষদ। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টায় নারায়ণগঞ্জ গার্লস স্কুল এন্ড কলেজে এ সভায অনষ্ঠিত হয়। এর আগে সকাল নয়টায় হেনা দাসের কন্যা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা: দীপা ইসলাম, জেলা সভাপতি ও কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ গবেষণা ও পাঠাগার সম্পাদক রীনা আহমেদ, সহ-সভাপতি কৃষ্ণা ঘোষ, সহ-সাধারণ সম্পাদক শোভা সাহা, সদস্য নুসরাত নুপুর তাঁর সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।
আলোচনা সভায় জেলা মহিলা পরিষদের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ গবেষণা ও পাঠাগার সম্পাদক রীনা আহমেদের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন,বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা লক্ষ্মী চক্রবর্তী ও আনজুমান আরা আকসির, নারায়ণগঞ্জ গার্লস স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক নিলুফার ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক রহিমা খাতুন, সহ-সাধারণ সম্পাদক শোভা সাহা, হেনা দাসের প্রাক্তন ছাত্রী পল্লবী প্রত্যাশা। বিপ্লবী হেনা দাসের স্মরণে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন কবি কাওছার আক্তার পান্না ও বিশিষ্ট আবৃত্তিকার সদস্য ফাহমিদা আজাদ। ডা: দীপা ইসলাম নবম-দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের মাঝে খাতা-কলম বিতরণ করেন।
বক্তারা বলেন- হেনা দাস মানব মুক্তি সংগ্রামে এক জীবন্ত কিংবদন্তি। ১৯২৪ সালে ১২ ফেব্রুয়ারি সিলেটের এক অভিজাত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন, ৫২ থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধ, চা শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠা, শিক্ষা ও নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। বিভিন্ন সময় তিনি আত্মগোপন, জেল-জুলুম ও নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে জড়িত ছিলেন। নারায়ণগঞ্জে তিনি জীবনের দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন। নারায়ণগঞ্জ গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। তিনি নারায়ণগঞ্জ মহিলা পরিষদের প্রথম সভাপতি এবং পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হিসেবে কাজ করেছিলেন। তিনি নারায়ণগঞ্জে নারীদের সংগঠিত করেছেন। বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনেরও তিনি অভিভাবক ছিলেন। সকলে তাঁর পরামর্শ নিতেন।আমৃত্যু তিনি নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে লড়াই সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এই দুঃসময়ে তার মতো নেতৃত্বের খুব প্রয়োজন, তরুণ প্রজন্মের কাছে তাঁর কর্ম পৌঁছে দিতে হবে। তোমরা এই স্কুলের ছাত্রীরা এই মহীয়সী নারীর জীবনের পাঠ করে নিজেকে সমৃদ্ধ করবে। তবে সমাজ আলোকিত হবে।