হীরা-রনির নেতৃত্বে মহানগর হকার সংহতি’র কমিটি গঠন
# ছাত্র জনতার অর্জন ধুলিসাৎ হয় এমন কিছু না.গঞ্জে হতে দেবো না: তরিকুল
# চাঁদাবাজির জন্য ছাত্র জনতা জীবন দেয় নি: অঞ্জন দাস
# হকাররা ওসমান পরিবারের লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে: বিপ্লব
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: ফুটপাতে চাঁদাবাজি, নৈরাজ ও দখল প্রতিরোধে শহরের হকারদের সাথে গণসংহতি আন্দোলনের বৈঠক হয়েছে। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় গণসংহতি আন্দোলনের দলীয় কার্যালয়ে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মো. ইব্রাহীমের সভাপতিত্বে এই সভায় উপস্থিত ছিলেন, গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন, ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন (বাজাফে-১২) এর কেন্দ্রীয় সদস্য অঞ্জন দাস, মহানগর কমিটির সমন্বয়কারী নিয়ামুর রশীদ বিপ্লব।
সভায় তরিকুল সুজন বলেন, যারা ফুটপাতে চাঁদা চাইতে আসবে, তাদের ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিবেন। আমরা কোন রকম চাঁদাবাজি, নৈরাজ এবং দখল সহ্য করবো না। ছাত্র জনতার অর্জন ধুলিসাৎ হয় এমন কিছু আমরা নারায়ণগঞ্জে হতে দেবো না।
অঞ্জন দাস বলেন, আমরা চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরি করছি। ইতিমধ্যে হকাররা আমাদের জানিয়েছেন, অমুকের নামে তমুকের নামে হকারদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের চেষ্টা করছে। আমরা তাদের সাবধান করে দিচ্ছি, আগের দিন গেছে নতুন করে এসব করার চেষ্টা করবেন না। আপনাদের চাঁদাবাজির জন্য ছাত্র জনতা জীবন দেয় নি।
মহানগর কমিটির সমন্বয়কারী নিয়ামুর রশীদ বিপ্লব বলেন, হকাররা দিনে আনে, দিনে খায়। অতীতে হকাররা রাজনীতির বলি হয়েছে। ওসমান পরিবারের লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। আমরা নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনকে আহ্বান জানাই, হকারদের জন্য উদ্যোগ নিন। হকাররা সিটি কর্পোরেশনকে টাকা দিয়ে, নিয়ম মেনে, শৃঙ্খলা রক্ষা করে, নাগরিকদের জন্য চলাচলের ব্যবস্থা রেখেই হকারি করবে।
আলোচনা শেষে ২১ সদস্যের নারায়ণগঞ্জ মহানগর হকার সংহতি কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির নেতৃবৃন্দরা হলেন: আহবায়ক – জসীমউদ্দিন হীরা, যুগ্ম আহবায়ক -মো. শহীদ, যুগ্ম আহবায়ক-মো. রুবেল হোসেন, সদস্য সচিব – মো. রনি মিয়া (অপু), যুগ্ম সদস্য সচিব – মাহতাব খান, সদস্য মো. কিরন, মো. সানি, সাদ্দাম হোসেন, মো. আরাফাত, মো. ইমন হোসেন, ফারুক খান, রফিকুল ইসলাম রবু, মারুফ হাসান, দেলোয়ার হোসেন, মো. শিপন, মো. রিফাত, মাসুম পাটোয়ারী, মো. আরীফুল ইসলাম, আরিফুজ্জামান, নাজিম প্রধান ও মো. মাসুম।