হামলার পিছনে কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে: আতাউর রহমান মুকুল
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: বন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আতাউর রহমান মুকুল বলেন, ‘আমি একটা সরকারি কাজ পেয়েছি, সেটা করতে গিয়ে এ হামলার শিকার হয়েছি। আমি সেখানে (ঘটনাস্থলে) যাওয়ার আগে সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে দরখাস্ত করেছি ও থানায় জিডি করেছি। আমার সাথে সেখানে পুলিশ ছিল, কিন্তু তারা সেটা (হামলা) কন্ট্রোল করতে পারেনি। অল্প টাকার একটা কাজের জন্য এতো বড় কিছু হবে তা কখনো ভাবতে পারিনি। এই হামলার মধ্যে হয়তো কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে। বজলুর বিএনপির লোক, সে আর আমি একসাথে জেলও খেটেছি। কিন্তু বজলুর আমার বিরুদ্ধে এমন একটা কাজ করবে ভাবতে পারিনি।’
রবিবার (২৯ জুন) গণমাধ্যমে দেওয়া এক বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
আতাউর রহমান মুকুল আরও বলেন, ‘যেখানে বজলুর আছে, সেখানে আমি নিরাপত্তায় আছি বলে জানি। সে আমার দোস্ত মানুষ, তার নেতৃত্বে এগুলো হবে আমি তা কল্পনাও করতে পারিনি। আমি সেখানে একটা সরকারি বিদ্যুতের কাজ পেয়েছি। এ সময় বজলুরের গ্রুপ এসে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও মারধর করে। তারা টানাটানি করে আমার পাঞ্জাবি-পায়জামা খুলে ফেলে। কিন্তু এ হামলার কারণ কি সেটা বুঝে উঠতে পারিনি। ওদের যদি কোন চাওয়া পাওয়া থাকে সেটা বলতে পারতো।’
বিএনপির সাবেক এই নেতা আরও বলেন, ‘আমার সাথে চারজন পুলিশ ছিলেন। সেখানে যাওয়ার সময় থানার এসআই জাকিরকে বলেছিলাম আমাদের সাথে যেতে। সে বলেছে আপনি আগে যান, যদি কোন কিছু হয় তাহলে আমাদের জানাবেন। আমি তাকে বলেছিলাম যদি কোন ঘটনা ঘটে, আমাকে মেরে ফেলে তাহলে আপনাকে জানাবো কিভাবে? এরপর সে ও এসআই শরীফের নেতৃত্বে চারজন পুলিশ আসে। আমি এখনো এ ঘটনায় মামলা করার সুযোগ পাইনি, কিন্তু আগে থেকে জিডি করে গেছি। ওসি সাহেব কোথাও থেকে তথ্য পেয়ে গতকাল রাতেই সে এলাকায় গিয়ে বলে এসেছে, এখানে কাজ হবে, এই নিয়ে যেন কোন গন্ডগোল না হয়। কিন্তু সেটা বলার পরেও এ হামলা করা হয়েছে। বজলুর আলাদা থানার লোক, আমি আলাদা থানার লোক। এই হামলার মাঝে অন্য কোন কারণ নেই।
প্রসঙ্গত, একইদিন দুপুরে বন্দরের হরিপুর পাওয়ার প্ল্যান্টের সামনে আতাউর রহমান মুকুলের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় তাকে ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ আখ্যা দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও মারধর করে বিবস্ত্র করে ফেলা হয়। ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার পর পুলিশ আহত আতাউর রহমান মুকুলকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন।