হাইকোর্টের নির্দেশে রাজাপুর খেয়াঘাটের ইজারা বাতিল ও পুনঃদরপত্র স্থগিত
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: বক্তাবলী ইউনিয়নের রাজাপুর গুদারাঘাট (ফেরীঘাট-খেয়াঘাট) পুনরায় ইজারা বন্দোবস্ত দেওয়ার প্রক্রিয়া বাতিল এবং পুনঃদরপত্রের নোটিশ স্থগিত করে আদেশ প্রদান করেছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ। এই আদেশের ফলে পূর্বের ইজারাদার হাসান আলী কর্তৃক খেয়াঘাট পরিচালনায় আর কোনো বাধা রইল না।
ইজারাদার হাসান আলীর দায়েরকৃত ১০০৪৬/২০২৫ নং রিট পিটিশনের শুনানি শেষে, মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি ফয়েজ আহমেদ-এর সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এর আগে, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জাফর সাদিক চৌধুরী রাজাপুর খেয়াঘাটের পূর্বের ইজারাদার মো. হাসান আলীর ইজারা বাতিল করে ইজারার পুনঃদরপত্র আহ্বান করেছিলেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়, নারায়ণগঞ্জ সদর থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল যে, বাংলা ১৪৩২ সনের ২২ আষাঢ় (৬ জুলাই) থেকে ৩০শে চৈত্র পর্যন্ত সময়ের জন্য অস্থায়ীভাবে ইজারা বন্দোবস্ত দেওয়ার জন্য সীলমোহরকৃত দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল।
এই পুনঃদরপত্র আহ্বানের বিরুদ্ধে হাসান আলী সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রিট মোকদ্দমাটি দায়ের করেন, যার ফলশ্রুতিতে আদালত ইজারা বাতিল এবং পুনঃদরপত্র নোটিশ স্থগিতের নির্দেশ দিলেন।
পূর্বের বিজ্ঞপ্তিতে রাজাপুর গুদারাঘাটের সম্ভাব্য সরকারি ইজারা মূল্য ২৬ লাখ ১৯ হাজার ৮৩৪ টাকা এবং দরপত্র সিডিউলের মূল্য ৬ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। দরপত্র দাখিলের সময় উদ্ধৃত মূল্যের ২৫% জামানত হিসেবে “উপজেলা নির্বাহী অফিসার, নারায়ণগঞ্জ সদর” এর অনুকূলে ব্যাংক ড্রাফট/পে-অর্ডারের মাধ্যমে জমা দিতে হতো। অনুমোদিত দরপত্রদাতাকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে অবশিষ্ট ৭৫% অর্থ এবং ইজারামূল্যের উপর ১০% হারে আয়কর ও ১৫% হারে ভ্যাট পরিশোধ করতে হতো, অন্যথায় দরপত্র বাতিল ও জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার বিধান ছিল।
তবে, হাইকোর্টের আজকের আদেশের ফলে আপাতত এই শর্তাবলী এবং পুনঃদরপত্র প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে গেল এবং হাসান আলী খেয়াঘাটটি পরিচালনার অধিকার ফিরে পেলেন। এই সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে জানা যাবে।
