হরিপুরের গ্যাসে চলবে জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: সিলেটের হরিপুরের গ্যাস ক্ষেত্র থেকে নারায়ণগঞ্জে গ্যাস আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
তবে, সেই গ্যাস কোন বাসা-বাড়ি নয়, ব্যবহৃত হবে জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চলে।
‘আড়াইহাজারের জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চলের অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় এই প্রদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।
নতুন গ্যাস লাইন স্থাপনের জন্য নারায়ণগঞ্জের বন্দর, সোনারগাঁ ও রূপগঞ্জের ৮ দশমিক ৭৩ একর জমি অধিগ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার বাগনয়ানগর মৌজায় ০ দশমিক ০৬২৫ একর, মনহরখারাবাগ মৌজায় ২ দশমিক ৫৩ একর, সোনারগাঁয়ের চেংগাইল মৌজায় ০ দশমিক ০০৯ একর, কাঁচপুর মৌজায় ০ দশমিক ৯৭ একর, বেহাকৈর মৌজায় ৩ দশমিক ১১ একর ও রূপগঞ্জের দির্ঘীররাবো মৌজায় ২ দশমিক ০৩ একর জমি অধিগ্রহণ করবে সরকার।
বন্দর উপজেলার বাগনাগর মৌজার প্রস্তাবিত জমি গুলোতে হরিপুর টিবিএস পয়েন্ট সংলগ্ন পারটেক্স গ্রুপের উন্মুক্ত বান্ডারের গার্ডরুম, প্রবেশপথ ও খালি জায়গা রয়েছে। মনহরখারাবাগ মৌজায় জমিতে তিতাস গ্যাসের হরিপুর ইসিবি ৪১২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাউন্ডারী ওয়াল বেশ্টিত খালি জমি, পাকা রাস্তা, কবরস্থান, মসজিদ, মাদ্রাসা, খালি ও কৃষি জমি রয়েছে। কাঁচপুর ও চেংগাইল মৌজার প্রস্তাবিত জমি গুলোও কৃষি। এছাড়া বেহাইকৈর মৌজার প্রস্তাবিত জমিতে দোকান, বাড়ী, পাকারাস্তা, পুকুর, নিটশেড ঘরসহ কৃষি জমি রয়েছে। পাশাপাশি দির্ঘীবরাব মৌজায় সিটি গেইট স্টেশন।
সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, গ্যাস লাইনটি ৫ দশমিক ৮২ কিলোমিটার হবে নারায়ণগঞ্জের উপরে। ৬ দশমিক ১২ মিটার প্রস্থ এলাকায় ২০ ইঞ্চি ব্যাসের ডায়া বসবে।
সম্প্রতি বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন গণমাধ্যমকে বলেন, ৪০টি কোম্পানি বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে। এর মধ্যে ৩০টি কোম্পানি জাপানের এবং বাকি ১০টি অন্যান্য দেশের। ইতোমধ্যে প্রায় ৮৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ এসেছে।’
পুরো অর্থনৈতিক অঞ্চলটি চালু হলে সেখানে ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ হবে বলে আশা করেন তিনি। এতে প্রায় লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।