স্বৈরশাসকরা হকার উচ্ছেদ করতে পারে না: হাফিজুল ইসলাম
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: জেলা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি কমরেড হাফিজুল ইসলাম বলেন, সারা বাংলাদেশে হকার আছে কিন্তু সারা বাংলাদেশের মধ্যে কোথাও হকার উচ্ছেদের করে নাই, সেখানে নারায়ণগঞ্জ এ সভায় বলা হয় তারা হকাদের উচ্ছেদ করবে। ওই স্বৈরশাসকরা হকার উচ্ছেদ করতে পারে না আর কেউ পারবেও না। পূর্ণবাসনের ব্যবস্থা করলে হকার এমনিতেই ফুটপাতে বসবে না।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল দশটায় চাষাড়া শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে কর্মসূচি পাল করে হকাররা। এসময় এ কথা বলেন হাফিজুল ইসলাম।
বক্তব্য হাফিজুল ইসরাম আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জের ৯০ শতাংশ মানুষ হকারদের কাছ থেকে জিনিস কেনে, কারণ তারা হকারকে ভালোবাসে। নারায়ণগঞ্জ অনেক পুলিশও আছে যারা দৈনন্দিনের জিনিসপত্র হকারদের কাছ থেকে কেনে। যারা বিভিন্ন সভায় বলেন নারায়ণগঞ্জের মানুষ হকারদের বিরুদ্ধে, আপনারা নারায়ণগঞ্জের মানুষকে বলে দেন হকারদের কাছে থেকে কিছু ক্রয় না করতে। দেখবেন তিনজন হকারও ফুটপাতে থাকবে না। হকারদের উপর মানুষের আস্থা আছে। নারায়ণগঞ্জের ৯০ শতাংশ মানুষ হকারদের সাথে আছে। সাধারণ মানুষের চলাচলে সমস্যা হোক সেটা আমরাও চাই না। নারায়ণগঞ্জে যারা বসবাস করে এটা তাদেরও নারায়ণগঞ্জ, এটা আমাদের সবার নারায়ণগঞ্জ। আমরা জানি সরকারের নীতিমালা থাকে যে, শিল্পাঞ্চলে শিল্পাঞ্চলের লোকেরা থাকবে, বানিজিক এলাকায় বানিজিক লোকেরা থাকবে। কিন্তু কিছু কিছু লোক আছে বিভিন্ন সভায় তারা নারায়ণগঞ্জকে বাণিজ্যিক, শিল্পাঞ্চল বানিয়ে ফেলে। এই সমস্যার সমাধান করতে হলে আবাসিক এলাকায় আবাসিক মানুষরা থাকবে, শিল্পাঞ্চলে শিল্পাঞ্চলের মানুষ থাকবে, বাণিজ্যিক এলাকায় বাণিজ্যিক লোকেরা থাকবে। আমরা চাই বিকেল ৫ তার পর থেকে আমরা বসতে চাই। আর এই নিয়ম থাকবে পুর্নবাসনের আগে পর্যন্ত। আমারদের এ দাবি না মানা হলে লক্ষ লক্ষ লোকের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে, যারা আমাদের কাছে আসে। আমরা কাউকে প্রতিপক্ষ বানাতে চাই না।
নারায়ণগঞ্জ জেলা হকার্স সংগ্ৰাম পরিষদের আহ্বায়ক হকারনেতা আসাদুজ্জামান আসাদের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্যে রাখেন, শ্রমিকনেতা হাফিজুল ইসলাম, আবদুল হাই শরীফ, ইকবাল হোসেন, এম এ শাহিন, মহানগর হকার্স লীগের সভাপতি আঃ রহিম মুন্সী, সাধারণ সম্পাদক মো. পলাশ, হকার নেতা মো. রানা, মো. শাহিন, নিলুফা বেগম প্রমুখ।
অবস্থান কর্মসূচি শেষে চাষাড়া শহীদ মিনার হকাররা শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের চাষাড়া থেকে শুরু করে দুই রেলগেইট হয়ে আবারও শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়।