বুধবার, নভেম্বর ২০, ২০২৪
Led04জেলাজুড়েরাজনীতিশিক্ষাসদর

‘স্কুলে আসা যাওয়ার সময় পেট্রোল টিমের বিশেষ ব্যবস্থা করেন’ সদর থানাকে সেলিম ওসমান

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ইভটিজিং এর অভিযোগ শুনে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান বলেন, এর পরে যদি এমন কোন ঘটনা ঘটে, তোমরা পুলিশের আশায় বসে থাকবে না। তোমরাই বের হয়ে যাবে রাস্তায়। ওদের ধরে যুতা পেটা করবা। নারায়ণগঞ্জ থানার ওসিকে অনুরোধ করবো, স্কুলে ঢোকার সময় এবং স্কুল থেকে বের হওয়ার সময় আপনার পেট্রোল টিম যাতে বাচ্চাদের নিরাপত্তা দেয়, সেই ব্যবস্থা করেন।

শনিবার (৮ জুন) মর্গ্যান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক পুরস্কার বিতরণ এবং নবনির্মিত সুলতানা কামাল ক্রীড়া মিলনায়তনের উদ্বোধন করা হয়েছে। সকাল ১০টায় স্কুল প্রঙ্গনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে ইভটিজিং বিষয়ে অভিযোগ তোলে শিক্ষার্থীরা। তাদের এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে এসব কথা বলেন সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা যদি ঘরে হাত গুটিয়ে বসে থাকো, তাহলে কোন সমস্যার সমাধান হবে না। আমি জানি না আমার প্রশাসনকে বারবার বলার পরও কেন এই বিষয়টা দেখছে না। এই কাজটা হচ্ছে পুলিশের, সংসদ সদস্যের বা আমার মেয়রের না। বাচ্চাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব হচ্ছে আমাদের পুলিশ প্রশাসনের এবং এসপি সাহেবের। আমি পুলিশকে অনুরোধ করলাম, এই যে বাচ্চাদের কষ্ট ও দুঃখ, তাদের এ থেকে উদ্ধার করেন। আর তা না হলে আমরা আপনাদের বিরুদ্ধে কথা বলবো। আমাদের বাচ্চারা নিরাপদে স্কুলে যেতে পারবে না, আর নারায়ণগঞ্জে একটি এসপি অফিস থাকবে, একটা থানা থাকবে এটা হতে পারে না। প্রয়োজনে শুধু মর্গান নয় অন্যান্য স্কুলের বাচ্চাদের সাথে নিয়েও আমরা তাদের নিরাপত্তার জন্য দাঁড়াবো।

সেলিম ওসমান বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীকে বলবো যে আমার বাচ্চাদের যাতে স্কুলে যেতে কোন সমস্যা না হয়। নারায়ণগঞ্জ থানার ওসিকে অনুরোধ করবো, স্কুলে ঢোকার সময় এবং স্কুল থেকে বের হওয়ার সময় আপনার পেট্রোল টিম যাতে বাচ্চাদের নিরাপত্তা দেয়, সেই ব্যবস্থা করেন। আমি স্কুলের বাইরের দোকান গুলোর বিষয়ে মাননীয় মেয়র মহোদয়ের কাছে অনুরোধ করবো, যাতে এগুলোর বিষয়ে তিনি কিছু একটা ব্যবস্থা নেন। শুধু মর্গান নয় সব গার্লস স্কুলের সামনেই যেন দোকান বিষয় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

সেলিম ওসমান আরও বলেন, এখানে একটি জেনারেটর আছে, যে ব্যবসায়ী সেই জেনারেটরটা চালান তাকে বলছি, আগামী সাত দিনের মধ্যে যদি এই জেনারেটরের শব্দ বন্ধ করার কোন ব্যবস্থা না করেন তাহলে পরিবেশ অধিদপ্তরের মাধ্যমে এই জেনারেটর বন্ধ করা হবে। আমি কমিটির কাছে অনুরোধ করতে চাই, শিক্ষার্থীরা যে যে বিষয়ে অভিযোগ করেছে সে বিষয়গুলো আপনি দেখেন। এই শব্দে আমার বাচ্চাদের নাকি পড়তে কষ্ট হয়। আমি স্কুল কমিটিকে বলবো আপনারা এর একটি ব্যবস্থা করেন নয়তো নতুন আনে। প্রয়োজনে আমি এবং আমার ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ এতে আপনাদের সহযোগীতা করবো। প্রতিটা বাচ্চাকে আমি আমার নাতি-নাতনির মতো ভালোবাসি। তোমরা যদি ভালো হও তাহলে তোমরাই পারবে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বানাতে। তোমরা ছাড়া দেশকে স্বপ্নের বাংলাদেশ বানাতে অন্য কেউ পারবে না। এখানে আমি আনোয়ার হোসেন বা অন্যান্য বড় বড় নেতারা পারবেন না। কারণ আমাদের একটি বদ অভ্যাস আছে আমরা একজন আরেকজনের পিছনে লেগে থাকি।

এসময় স্কুলের গভর্ণিং বডি ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, মর্গ্যান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি মোদাচ্ছেরুল হক দুলাল, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মর্গ্যান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের গভর্ণিং বডির সদস্য এস এম আহসান হাবিব, ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মনির, ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্না, নারায়ণগঞ্জ কলেজের উপাদক্ষ ড. রুমন রেজা প্রমুখ।

RSS
Follow by Email