সোনারগাঁয় নৌকা ডুবির আভাস
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রায় ১ মাস বাকি। ইতিমধ্যেই নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন আসনে প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র বাছাই করেছে নির্বাচন কমিশন। নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে ১১ জনের মনোনয়ন পত্র বাছাই করা হয়েছে। তবে সোনারগাঁবাসীর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে ৫ জন। সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগ আবদুল্লাহ আল কায়সার এই আলোচিত প্রার্থীদের মধ্যে অন্যতম। ১৫ বছর আগে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে সংসদ সদস্য হবার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু পরের ১০ বছর সুযোগ হাত ছাড়া হয়েছে তার। এবারও তার নৌকা ডুবি হবে বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
সূত্র মতে, ২০০৮ সালের নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের আওতায় ছিল সোনারগাঁ ও সিদ্ধিরগঞ্জ। এর জন্যে কায়সার সমর্থকদের সংখ্যা অনেকই ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে এই আসনে শুধু সোনারগাঁ উপজেলা রাখার কারণে সমর্থকদের সংখ্যা কমে আসে। ২০১৪ ও ২০১৮ তে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা। ১০ বছরের এই বিরাট সময়ে সোনারগাঁয়ের আওয়ামীলীগের অনেকেরই সাথে হয়েছে সুসম্পর্ক। এতে করে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের একটি অংশ তার দিকে ঝুকে যায়।
এদিকে, সোনারগাঁ আওয়ামীলীগে বিভক্তি জন্মেছে বলে গুঞ্জন রয়েছে। যার দেখা মিলে প্রার্থীদের তালিকা দেখে। আওয়ামীলীগ থেকে মনোনীত প্রার্থী কায়সার থাকা স্বত্ত্বেও দল থেকে সড়ে স্বতন্ত্র হয়ে দাঁড়িয়েছেন ২ জন। এরা হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য মোবারক হোসেনের ছেলে এরফান হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মারুফুল ইসলাম ঝলক। এর কারণে সমর্থকদের ভাগ-বাটোয়ারা হবে বলে নির্বাচনের ময়দানে নৌকা পিছিয়ে যাবে বলে ধারণা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। অন্যদিকে কায়সারের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র হয়ে দাঁড়িয়েছেন তার স্ত্রী রুবিয়া সুলতানা। তবে তিনি কায়সারের ‘ডামি’ প্রার্থী বলছেন কেউ কেউ। নির্বাচনে নৌকা কি পারবে জয়ের মুখ দেখতে? নাকি জাতীয় পার্টির খোকাই আবার সংসদ সদস্য হয়ে আসবে, এমনটাই প্রশ্ন জনমনে। তবে এ প্রশ্নের জবাব মিলবে ৭ জানুয়ারি।
প্রসঙ্গত, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়ন আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। যথার্থ প্রস্তুতির পর ৭ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।