বুধবার, অক্টোবর ১৫, ২০২৫
Led04সোনারগাঁ

সোনারগাঁয়ে ধর্ষণ অভিযুক্ত যুবক জামালপুরে আটক

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: এক ঝলমলে সম্পর্কের আড়ালে ছিল ঘোর প্রতারণার জাল। বিয়ের প্রলোভনে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের হওয়া চাঞ্চল্যকর মামলার প্রধান অভিযুক্ত অবশেষে ধরা পড়ল। সোনারগাঁয়ে এই ঘৃণ্য ঘটনার ঘটিয়ে পালিয়ে যাওয়া অভিযুক্ত রুবেল মিয়াকে (৩৮) দূরবর্তী জামালপুর থেকে আটক করেছে র‍্যাবের যৌথ দল।

নারায়ণগঞ্জ থেকে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে অভিযুক্তকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে র‍্যাব-১১ জামালপুরের যৌথ অভিযানিক দল। মঙ্গলবার বিকেলে জামালপুর সরিষাবাড়ী থানার পোগলদিয়া এলাকায় গোপন অভিযান চালিয়ে রুবেল মিয়াকে আটক করা হয়।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালে স্বামীর মৃত্যুর পর ভুক্তভোগীর জীবনে ২০২২ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসেন অভিযুক্ত রুবেল মিয়া। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই সম্পর্কের সুযোগ নিয়ে অভিযুক্ত রুবেল মিয়া ভুক্তভোগী নারীর কাছ থেকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিভিন্ন সময়ে প্রায় ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ। শুধু অর্থ আত্মসাৎ নয়, বিয়ের আশ্বাস দেখিয়ে তিনি ভুক্তভোগীর সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কও স্থাপন করেন।

গত ১২ অক্টোবর রাতে ভুক্তভোগী নারী অভিযোগে বলা হয়েছে, ওইদিন রাত আনুমানিক ১১টার দিকে সোনারগাঁয়ের ষোলপাড়া এলাকার তার শয়ন কক্ষে অভিযুক্ত রুবেল মিয়া ভুক্তভোগীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এরপর সবচেয়ে অমানবিক ঘটনাটি ঘটে— অভিযুক্ত ‘খাবার আনার কথা বলে’ ভুক্তভোগীকে ঘরের ভেতর তালাবদ্ধ করে বাইরে চলে যান। ১৩ অক্টোবর রাত আড়াইটার দিকে অভিযুক্ত ঘরে ফিরে দরজা আটকে দেন এবং ভুক্তভোগী এই ঘটনা কাউকে জানালে তাকে হত্যার হুমকি দেন বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। পরদিন সকালে ভুক্তভোগীর আর্তনাদ শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে। আর এই সুযোগে অভিযুক্ত রুবেল মিয়া পালিয়ে আত্মগোপন করেন। ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় অভিযুক্ত রুবেল মিয়ার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন।

সোনারগাঁয়ে মামলা দায়েরের পর থেকেই অভিযুক্তের খোঁজে নামে র‍্যাব। নিজস্ব গোয়েন্দা নজরদারি ও প্রযুক্তির মাধ্যমে তার অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পরই নারায়ণগঞ্জের র‍্যাব-১১ এর সহযোগিতায় জামালপুরে অভিযান চালানো হয়। অবশেষে জামালপুর থেকে আটক করে আইনের হাতে তুলে দেওয়া হয় অভিযুক্ত রুবেল মিয়াকে। আটককৃতকে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য জামালপুর সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

RSS
Follow by Email