বুধবার, অক্টোবর ১৫, ২০২৫
Led03সোনারগাঁ

সোনারগাঁয়ে ডোবার পানিতে বস্তা, মিলল তরুণীর অর্ধগলিত মরদেহ

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: কাইক্কারটেক সেতুসংলগ্ন একটি ডোবার বদ্ধ পানিতে ভেসে থাকা একটি সাধারণ সবুজ বস্তার আড়াল থেকে উন্মোচিত হলো এক ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড। পচা দুর্গন্ধের সূত্র ধরে স্থানীয়রা খবর দিলে পুলিশ সেই বস্তার ভেতর থেকে উদ্ধার করে এক তরুণী রেস্তোরাঁ কর্মীর অর্ধগলিত মরদেহ। এটি যে নিছক কোনো দুর্ঘটনা নয়, বরং ঠান্ডা মাথায় করা খুন, তা নিশ্চিত করেছে মরদেহের গলায় দড়ি দিয়ে শ্বাসরোধের ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সোনারগাঁও উপজেলার কাইক্কারটেক সেতুসংলগ্ন ডোবা থেকে ওই বস্তাবন্দী মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত তরুণী হলেন কামরুন নাহার (২২)। তিনি শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার মাগুরা গ্রামের সাদেক আলীর মেয়ে এবং সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় ‘কলাপাতা বার্গার’ নামে একটি রেস্তোরাঁয় ওয়েটার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

স্থানীয়রা পুলিশকে জানান, সোমবার দুপুর থেকে এলাকায় তীব্র দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছিল। পরে ডোবার পানিতে ভাসমান সবুজ ব্যাগটি দেখে তাদের সন্দেহ হয় এবং তারা পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে সোনারগাঁ থানা পুলিশ ও নৌপুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ব্যাগটি উদ্ধার করে। ভেতরে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় থাকা মরদেহটি স্বজনরা এসে কামরুন নাহার হিসেবে শনাক্ত করেন।

পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা তাকে কমপক্ষে দুই-তিন দিন আগে হত্যা করে মরদেহ গুম করার উদ্দেশ্যে বস্তায় ভরে ডোবার পানিতে ফেলে গিয়েছিল, যার ফলে মরদেহে পচন ধরেছে।

সোনারগাঁ থানার ইন্সপেক্টর (অফিসার ইনচার্জ) রাশেদুল হাসান বলেন, “স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে নৌপুলিশের সহায়তায় আমরা বস্তাবন্দি অবস্থায় ওই তরুণীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছি।” তিনি আরও জানান, “প্রাথমিকভাবে এটি একটি হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে। মরদেহের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনসহ জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।”

RSS
Follow by Email