মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪
Led01রাজনীতি

সে গর্তে থাকুক আর বিদেশে থাকুক, কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবেই: গিয়াসউদ্দিন

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: ‘স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতন হওয়ার কারণে আমরা আজ সকলেই খুশি ও আনন্দিত। কিন্তু একদল মোটেও খুশি না, আজ তারা মনে কষ্ট নিয়ে আছেন। তারা শেখ হাসিনা ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর। তারা মানুষের অধিকার হরণ করেছে, তারা আইনের অনুশাসনকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা আজকে অপরাধের কারণে পলাতক জীবন যাপন করছে। অপরাধের কারণে অনুশোচনা থেকে, তাদের ভীতি থেকে তারা আজকে পলাতক জীবন যাপন করছেন। পালিয়ে গিয়ে আত্মগোপনের পর তারা এখন বিভিন্ন দেশে লুকিয়ে থেকে ষড়যন্ত্র করছে। তারা লুটপাট করে যে অফুরন্ত সম্পদ উপার্জন করেছে। সেই সম্পদ ব্যবহার করে তারা আজকে ষড়যন্ত্র করছে। দেশে কিভাবে অরাজকতার সৃষ্টি করা যায়, উন্নয়নের ধারাকে রোধ করা যায় সেই চেষ্টায় তারা মগ্ন। আমরা এটা হতে দিব না।’

শনিবার (২৬ অক্টোবর) সিদ্ধিরগঞ্জে রেবতি মোহন পাইলট স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গনে এক জনসভায় এই কথা বলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াসউদ্দিন। ৫নং ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের আয়োজনে সন্ত্রাস,মাদক, চাঁদাবাজ, লুটপাট, নৈরাজ্য ও অপকর্মের প্রতিবাদে এই জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। এই জনসভার সভাপতিত্ব করেন ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম এবং সঞ্চলনায় ছিলেন ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. জিল্লুর রহমান।

জনসভায় গিয়াসউদ্দিন বলেন, সে বলতো দেশটা আমার বাবার দেশ, সে বলতো এটা আমার দেশ। অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে যারা আন্দোলন করেছিল, তাদেরকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য সরকার ও প্রশাসনকে ব্যবহার করে দাম্ভিকতার সাথে সে বলেছে এ দেশ তাদের, আন্দোলন সংগ্রামকারীদের যেকোনো মূল্যের দমন করে ছাড়বে। তারা আজকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। কিন্তু তারা আজকে ষড়যন্ত্র করছে। স্বৈরাচার বিতারিত করে আমাদের মধ্যে যে নতুন স্বপ্ন সৃষ্টি হয়েছে, সেই স্বপ্নকে ধ্বংস করার জন্য তারা আজকে ষড়যন্ত্র করছে।

তিনি বলেন, এই সন্ত্রাসী ফ্যাসিস্ট সরকারকে আমরা দীর্ঘ আন্দোলনের মাধ্যমে বিতাড়িত করেছি। আমরা অনেক রক্ত ঝরিয়েছি। দীর্ঘ ১৬ বছর আগে হাসিনা সরকার এদেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল। দেশের সম্পদ ও অর্থ কে লুটপাট করে ব্যাংক খালি করে দিয়েছিল। অসংখ্য মানুষকে হত্যা করেছিল। আমাদের কাজ এখন তাদেরকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো। এই সন্ত্রাসীদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হলো আমাদের প্রথম দায়িত্ব। যদি আমরা তা না করি, এরা আবার ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশের মানুষের উপর চেপে বসবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি জোড় দাবি জানিয়ে গিয়াসউদ্দিন বলেন,যারা নির্বিচারে মানুষ খুন করেছে, মানবতাবিরোধী কার্যক্রম করেছে, অবিলম্বে বিচারের মাধ্যমে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। বিদেশে পালিয়ে যান কিংবা গর্তের লুকিয়ে থাকুন, কিচ্ছু যায় আসেনা। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। যাদের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে বিচার কার্য শুরু করতে হবে। দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী শাস্তির রায় হবে। সেই রয়ের কারণে কেউ বিদেশে পালিয়ে থাকুক কিংবা এই দেশে থাকুক, তাদেরকে গ্রেফতারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অন্যায়কারী অত্যাচার করে যদি শাস্তি না পায়, আগামী দিনে আরো নতুন অন্যায়কারী তৈরি হবে। অন্যায় করতে সাহস পাবে। সেটা হতে দেওয়া যাবে না।

জনসভায় বিশেষ অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মোঃ মাজেদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিম জুয়েল, সহ-সভাপতি আব্দুল আল মামুন, সহ সভাপতি জি.এম. সাদরিল, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আকবর হোসেন, নারায়ানগঞ্জ জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব মুহাম্মদ কায়সার রিফাত, নারায়াণগঞ্জ জেলা তরুণ দল টি এইচ তোফা।

আরও উপস্থিত ছিলেন, ১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোঃ রওশন আলী চেয়ারম্যান, ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ আলী, ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভপতি মোঃ তৈয়ব হোসেন, ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি মোঃ আবুল হোসেন, ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি মোঃ মোস্তফা, ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি মো. দিদার আলম, ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি জি.এইচ. বাবুল, ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি এ্যড. মাসুদুজামান মন্টু, ১০ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোঃ আনিস শিকদার।

RSS
Follow by Email