শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫
রাজনীতি

সেলিম মাহমুদের মুক্তির দাবিতে ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তি

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের নেতা সেলিম মাহমুদের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছে জেলা ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র। শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে গনমাধ্যমকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে জেলা কমিটির সভাপতি আঃ হাই শরীফ ও জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিমল কান্তি দাস বলেন, ‘সেলিম মাহমুদকে গত ১৫এপ্রিল দিবাগত রাতে, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় তার নিজ বাসা থেকে সেনাবাহিনী তুলে নিয়ে রূপগঞ্জ থানায় সোপার্দ করে। তিনি রূপগঞ্জ থানার ভুলতা এলাকায় অবস্থিত রবিনটেক্স লিঃ গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিকদের ইউনিয়ন গঠন ও ইউনিয়ন কার্যক্রম পরিচালনায় সহায়তা করেছেন।নির্যাতিত শ্রমিকদের রক্ষায় আইনগত সহযোগিতার ব্যবস্থা করেছিলেন, তাদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে সংহতি জানিয়ে ছিলেন। সম্ভবত এটাই তারা অপরাধ ধরে নিয়েছে। রবিনটেক্স কারখানা কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিকদের সংগঠিত হওয়া ও মত প্রকাশের অধিকারকে দমন করে আসছিল। মালিক কর্তৃপক্ষের এই শ্রমিক স্বার্থবিরোধী অবস্থান নিয়ে শ্রম আদালতে শ্রমিক ইউনিয়ন নিবন্ধনের মামলা চলমান আছে এবং শ্রম অধিদপ্তর ও শ্রম পরিদর্শন অধিদপ্তরের নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করা আছে।শ্রমিকরা তার প্রতিকার পায়নি। ফলে তারা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছিল। মালিক ও কারখানা কর্তৃপক্ষ শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনরত শ্রমিকদের কৌশলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে সংঘাতে ঠেলে দিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের, পুলিশি হয়রানি আর (শ্রমিকদের) চাকরিচ্যূত করে আতংক সৃষ্টি করেছে। শ্রমিক ইউনিয়ন ও আন্দোলনকে দমন করার কৌশল নিয়েছে। মালিক পক্ষ শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। ইউনিয়নের সভাপতি সীমা আক্তারসহ ২২ জন শ্রমিককে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। সেলিম মাহমুদের বিরুদ্ধেও একাধিক মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। এই মিথ্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিনটেক্সের মালিক পক্ষের শ্রমিক ইউনিয়ন ধ্বংস করার এই কৌশল বাস্তবায়নে প্রশাসনের সহযোগিতামূলক আচরণ শ্রমিকদের ক্ষতিগ্রস্ত করবে।সেলিম মাহমুদ ও ইউনিয়ন সভাপতি সীমা আক্তারসহ ইউনিয়ন সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া ও তাদের গ্রেফতার করা নিশ্চিত ভাবেই গার্মেন্টস শ্রমিকদের স্বাধীন ভাবে সংগঠন করার অধিকারের উপর এক ধরনের অন্যায় আক্রমণ করা হবে।

সেলিম মাহমুদকে ১৬এপ্রিল কোর্টে তোলা হয় কিন্তু জামিন দেওয়া হয়নি। সাধারনত শ্রমিক আন্দোলনের ক্ষেত্রে এ ধরনের মামলায় জামিন পাওয়ার কথা। আমরা আশা করছি রবিনটেক্স মালিক কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনের বোধদয় হবে। সেলিম মাহমুদ ও সীমাসহ রবিনটেক্সের গ্রেফতারকৃত শ্রমিকদের নিঃশর্ত মুক্তি এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহর করবে। দমন—পীড়নের এই পথ পরিহার করে আলাপ—আলোচনার মাধ্যমে সৃষ্ট শিল্প অসন্তোষ নিরসণের আহবান জানাচ্ছি।’

RSS
Follow by Email