সেলিম ভাই গাম্ভীর্য্য বজায় রেখে চলেন কিন্তু মন অনেক নরম: নিগার ওসমান
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: বাংলাদেশের সূচনার আগ থেকেই রাজনীতির সাথে ওতপ্রতভাবে জড়িত ওসমান পরিবার। দাদা ব্রিটিশ আমলে ছিলেন এমএলএ, বাবা ছিলেন এমএলএ। পরে আসলো বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ। আমি প্রতক্ষ্য করেছি, সেলিম ভাই ছোট্ট বয়সেই মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন। ছোটবেলা থেকেই তার মধ্যে দায়িত্ববোধ ছিল। উনি একটু গাম্ভীর্য্য বজায় রেখে চলেন, কিন্তু মন অনেক নরম। আমাকে একবার বলেছিলেন, তোমরা ইবাদত করো, আমি মনে করি আমার কাজটাই ইবাদত। এ কথাটি আমাকে বেশ নাড়া দিয়েছে। কারণ মানুষের জন্য কাজ করাটাও একটা বিরাট ইবাদত।
সোমবার (১ জানুয়ারী) বিকাল সাড়ে ৩ টায় সদর থানার পাশে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী একেএম সেলিম ওসমানের প্রধান নির্বাচনী ক্যাম্পে এসব কথা বলেন সেলিম ওসমানের ছোট বোন নিগার ওসমান। এর আগে, সাবেক নারী সংসদ সদস্য হোসনে আরা বাবলির সভাপতিত্বে ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এড. মাহমুদা আক্তার মালার সভাপতিত্বে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নাসরিন ওসমান। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারগিস ওসমান। মতবিনিমিয় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নারী নেত্রী ইসরাত জাহান স্মৃতিসহ বিভিন্ন সংগঠনের নারী নেতৃবৃন্দ।
নিগার ওসমান বলেন, আমি রাজনৈতিক পরিবারের মেয়ে। আমি রাজনীতি না করলেও সবসময় রাজনীতির সাথে যুক্ত। আমি ঢাকা ইউনিভার্সিটির শামসুন্নাহার হলে থেকেছি। ছাত্র লীগে নাম না লিখালেও ছাত্র লীগের হয়ে কাজ করেছি। প্রত্যেকটি মিটিং শুনে আব্বাকে মেসেজ দিতাম, যা শুনে তিনি খুব খুশি হতেন।
তিনি বলেন, আমি যে ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে পড়েছি, আমেরিকায় গিয়ে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি তা সবই হয়েছে সেশি ভাইয়ের জন্য। আব্বার অবর্তমানে সেলিম ভাই আমাদের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। উনি নারীদের অনেক সম্মান করেন, তাদের উচ্চ পদে দেখতে চান। তাইতো নারীদের জীবন মান উন্নয়নে কাজ করেছেন। তাই আগামী ৭ তারিখ সেলিম ভাইকে ভোট দিয়ে আরও কাজ করার সুযোগ দিন।
তিনি আরও বলেন, একজন পুরুষের সাফল্যের পিছনে দুই নারীর হাত রয়েছে। একজন হলেন মা, অপর জন হলেন স্ত্রী। সেলিম ভাই জীবণের প্রতিটি ক্ষেত্রেই বাবা-মায়ের দোয়া পেয়েছেন। সেলিম ভাইয়ের সাফল্যের পিছনে আরেক জন হলেন নাসরিন ওসমান, আমার ছোট বেলার বান্ধবী এবং সেলিম ভাইয়ের স্ত্রী। উনি খুব মার্জিত ও দায়িত্বশীল। আম্মার পর নাসরিন আমাদের পরিবারকে আগলে রেখেছেন। একটা মেয়ে স্বামীর জন্য যে কতটা সেবাযত্ন করতে পারে তা উনাকে করতে দেখেছি। মুখে হাসি নিয়ে সকল বাধা-বিপত্তি পার করেছেন।