সেলিম ভাইয়ের উন্নয়নের সহযোগী একজন মুক্তিযোদ্ধাই হতে পারেন, রাজাকার নয়: খোকন সাহা
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা বলেছেন, আমি বন্দরের ভোটার না। কিন্তু আমি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে এখানে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। মুক্তিযোদ্ধার সাথে থাকতে এসেছি। শুনেছি এই এলাকায় নাকি রাজাকারেরা চেয়ারম্যান হতে চায়। কত বড় স্পর্ধা ওদের। আতাউর রহমান মুকুলের জন্ম রাজাকারের পরিবারে। ওর পূর্ব পুরুষরা ছিল সাইলেন্ট কিলার। আমার স্বজনসহ অনেককেই মৃত্যুর কোলে ঠেলে দিয়েছে। মাকসুদের বাবাও একই কাজ করেছে। আমাদের মা-বোনদের ওরা পাক বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে। এখন চিন্তা করুন, ওরা চেয়ারম্যান হলে বন্দর একটা মিনি পাকিস্তান হবে। আপনারা কি চান বন্দর মিনি পাকিস্তান হউক, নাকি বাংলাদেশ হয়ে থাকবে। ৯ তারিখ থেকে বন্দরে বাংলাদেশের পতাকা উড়বে না পাকিস্তানি পতাকা উড়বে।
সোমবার (৫ মে) সন্ধ্যায় বন্দর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এম এ রশিদের এক নির্বাচনী উঠান বৈঠকে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
খোকন সাহা বলেন, সেলিম ভাই একজন মুক্তিযোদ্ধা। উনার পরিবার মুক্তিযুদ্ধের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সেলিম ভাই বন্দরের এমপি। মনে রাখবেন এমপি সাহেব না চাইলে একটি ইটও বসানো যায় না। সেলিম ভাই বন্দরের জন্য একজন মুক্তিযোদ্ধাকে চেয়েছেন। সেলিম ভাইয়ের উন্নয়নের সহযোগী কোন রাজাকার বা রাজাকারের পরিবার হতে পারে না। আমরা আপনাদের সতর্ক করে যাচ্ছি। কিন্তু ভোট দিবেন আপনারা। মন থেকে ভোট দিবেন। পরিবারের সকল সদস্যদের নিয়ে ভোট কেন্দ্রে যেয়ে রশিদ ভাইকে পাশ করাতে হবে।
এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল (ভিপি বাদল), মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ্ নিজামসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।