সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় না.গঞ্জে কোন শ্রমিক অসন্তোষ হয়নি: ডিসি
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক বলেছেন, নারায়ণগঞ্জে ২-১ টি কারখানা বাদে কোন শ্রমিক অসন্তোষ হয়নি। যেটি হয়েছে সেটি আমরা ম্যানেজ করেছি। আমরা শুরু থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাপোর্ট পেয়েছি। যে সকল ইন্ডাস্ট্রিতে সমস্যা হয়েছে, টেক্সটাইলে, গার্মেন্টেস এ অসন্তোষ হয়েছে। সেনাবাহীনির সদস্যরা সেখানে যেভাবে সমস্যা এড্রেস করেছেন, আমরা সহজভাবে নেগোসিয়েশন করতে পেরেছি। রাস্তায় শ্রমিক জট করেছে, সেনাবাহিনী সেটা উঠিয়ে দিয়েছেন। এজন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) চাষাড়া বিকেএমইএ‘র বিকেএমইএ’র কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি। সভার সভাপতিত্ব করেন বিকেএমইএ’র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের সচিব এইচ এম সফিকুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলে- শিল্প পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি মো. সিবগাত উল্লাহ, নারায়ণগঞ্জ শিল্প পুলিশ-৪ এর অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আসাদুজ্জামান, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক, জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার, নারায়ণগঞ্জ জেলার সেনাবাহীনির কমান্ডিং অফিসার লেফটেনেল কর্নেল আতিক ও বিজিএমইএ’র সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম।
সভায় জেলা প্রশাসক বলেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান যখন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ মন্ত্রনালয়ের মহাপরিচালক থেকে সারা দেশের মানুষদের যে সেবা দিয়েছেন তা অতুলনীয়। এমন একটিভ, পরিশ্রমী অফিসার বাংলাদেশের খুব কমই আছে। উনাকে যখন আমি সচিব হিসেবে দেখলাম, তখন আমি বিশ্বাস রাখলাম আশুলিয়া গাজিপুরে শ্রমিকদের যে সমস্যা দেখা দিচ্ছে তার সমাধান হবে। আমরা খুবই সৌভাগ্যবান স্যারের সাথে আমরা আজ দেখা করতে পেরেছি।
তিনি বলেন, ৫ তারিখের পূর্বের সরকারের পতন ঘটেছে। এর কিছুসময় দিক নির্দেশনাহীন সময় গিয়েছে। ৫ তারিখের দিন একটা সময়ে আমাদের অফিস পুরো খালি ছিল। নারায়ণগঞ্জে শৃঙ্খলা ফিরাতে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, শ্রমিক নেতা, ছাত্র-সমন্বয়ক, ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলেছি। জাতীয়তাবাদী দলের নেতৃবৃন্দ, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, হেফাজতে ইসলাম, কমিউনিস্ট পার্টিসহ বিভিন্ন দলের নেতৃবৃএন্দর সাথে কথা হয়েছে। তাদের সাথে কথা বলে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয়, পূজা-মন্ডপ মন্দির ও তাদের বসবাসের স্থানগুলো পাহাড়ার ব্যবস্থা করেছি।