সুযোগ চাইলে আসেন, পুলিশ ধরে নিলে আমি জামিন করাবো : সেলিম ওসমান
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান বলেন, একজন লন্ডনে বসে হুকুম দেয় আর আপনারা সেই ভাবে চলেন। আপনাদেরকে সুযোগ চান তাহলে আসেন। পুলিশ যদি আপনাকে ধরে নিয়ে যায় তাহলে আমি জামিন হয় আপনাকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসবো। আপনারা প্রকাশ্য আছেন এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্দ্যায় বন্দর ২৬ নং ওয়ার্ড গোকুল দাসের বাগ এলাকায় এক নির্বাচনী মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।
সভায় তিনি আরো বলেন, আমার বাড়িতে গুলি করে ছিদ্র করে দিয়েছে। আমার ফ্যাক্টরি দখল করে নিয়েছিলেন। আমি কি মুক্তিযুদ্ধে ছিলাম না ? কিন্তু আমি তো একবারও জিজ্ঞেস করিনি কেন আমার ফ্যাক্টরিটা দখল করা হলো। আমি শত্রুর সাথে আলিঙ্গন করে চলি। আমি আল্লাহ ছাড়া কারো কাছে মাথা নত করি না। আল্লাহ ছাড়া কারো কাছে হাত পাতি না। আমি চাই প্রতিটা বাড়ি থেকে যেন ভোট আসে । এখন পর্যন্ত আমার কার্যালযয়ে বিশ হাজার লোকের সাথে বিভিন্ন কাজে কথা বলেছি। ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, আওয়ামী লীগ,জাতীয় পার্টি এমনকি বিএনপির সাথেও কথা বলা হয়েছে। কিন্তু আমি জানি না কেন তারা ঘোমটা দিয়ে আছেন। আমার সঙ্গে ঠিকই বলেন ভাই আছি। তাহলে এখন কেন ঘোমটা দিয়ে আছেন ঘোমটা খোলেন মাঠে আসেন।
সেলিম ওসমান বলেন, এই বয়সে আবার নির্বাচন করতে যাচ্ছি। আমার পরিবর্তে এমন অনেক আছেন যারা নির্বাচন করতে পারতেন। যেখানে আমার ছোট ভাই নির্বাচন করেন, সেখানে খোকন, চন্দন ও নির্বাচন করতে পারতো । আমি আগেই বলেছি আমার উপর যদি নির্দেশ থাকে আমাকে হুকুম পালন করতেই হবে। আমাকে নির্বাচন করতেই হবে। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা রশিদ ভাইও একজন মুক্তিযোদ্ধা। অসুস্থ ছিলেন হসপিটালে ছিলেন কিন্তু হসপিটালে শুয়ে থাকতে পারেন নাই। মিটিং এর কথা শুনে, হসপিটালের স্যালাইন খুলে খুলে চলে এসেছে। আমার ভুল আছে, যতটুকু উন্নয়ন হওয়ার কথা ছিল ততটুক হয়নি। আমার উচিত ছিল সেই উন্নয়নটুকু সম্পন্ন করা। আমি আমার প্রথম ধাপেই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য কাজ করে গেছি। যাতে বাচ্চারা সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারে। ব্যক্তিগত তহবিল হতে ৬ তলা ফাউন্ডেশন দিয়ে সাতটা ইউনিয়নের, সাতটা স্কুল করতে পারেছি। আমি দেখেছিলাম স্কুলের বাচ্চাদের বাথরুমে যেতে হলে বাহিরের বাথরুমে যেতে হয়। এর এটি দেখার পর আমি জাহিদ ভাই, রশিদ ভাই, আমরা একসাথে বসলাম। আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম প্রতিটি ইউনিয়নের একটি করে স্কুল করতে হবে। তখন সরকারিভাবে সেরকম ফান্ড আসেনি। যখন আমি ফাউন্ডেশন দিয়ে স্কুল করা শুরু করলাম তখন প্রধানন্ত্রী আমাকে প্রশ্ন করেছিলেন, যে ফাউন্ডেশন দিয়ে কেন স্কুল করছো? আমি বলেছি, ফাউন্ডেশন দিয়ে স্কুল করার মানে হচ্ছে আমার ছেলে মেয়েরা যাতে খেলাধুলা করতে পারে। আর না হলে ফাউন্ডেশন এর টাকা দিয়ে আমরা আরো বিশটা স্কুল করতে পারতাম। আমাদের কাছে আগামীতে আরো সুশিক্ষিত মানুষ আসবে। নবীগঞ্জ যেখানে ফেরি চলে সেখানে ব্রিজ হওয়ার কথা ছিল কিন্তু আমি পারিনি। তার পেছনে একটাই কারণ করোনা ভাইরাস। সারা বিশ্বের দুইটা বছর আল্লাহ আমাদেরকে শাস্তি দিলেন। কিন্তু আল্লাহর রহমতে আমাদের দেশের মানুষের শেখ হাসিনাকে পেয়েছে। আমাদের বাংলাদেশে অনেক দেশের আগেই বিনামূল্যের টিকা দিতে পেরেছিলাম আলহামদুলিল্লাহ করোনাকে দূর করে দিতে পেরেছি। করোনায় যাতে কেউ খেতে না পেয়ে মরে না যায়। তাই রশিদ ভাইয়ের নেতৃত্বে বিভিন্ন জায়গায় মানুষের বাসায় খাবার দানা পৌঁছে দিয়েছি। আমার চেয়ারম্যান কাউন্সিলর সবাই কাজগুলো করেছেন। আমরা প্রতি জায়গায় ভলেন্টিয়ার নিয়োগ দিয়েছে প্রতি মাসে ৬ হাজার টাকা করে তাদের বেতন দিয়েছি ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ রশিদ, জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সানাউল্লাহ সানু, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিএম আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক এড. মাহমুদা মালা, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি জুয়েল হোসেন প্রমুখ।