সিদ্ধিরগঞ্জে ২০ মামলার আসামি সাহেব আলী সুনামগঞ্জে গ্রেপ্তার
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার ‘চিহ্নিত ও শীর্ষ সন্ত্রাসী’ হিসেবে পরিচিত মো. সাহেব আলীকে (৩৮) তার সহযোগীসহ সুনামগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। র্যাব-১১ এবং র্যাব-৯-এর যৌথ আভিযানিক দল ১৫ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টার দিকে সুনামগঞ্জ জামালগঞ্জের মান্নান ঘাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে বলে র্যাব দাবি করেছে।
গ্রেপ্তারকৃত সাহেব আলীর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন থানায় মোট ২০টি মামলা রয়েছে বলে র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ডাকাতি ও ছিনতাই সংক্রান্ত ৭টি, মাদক সংক্রান্ত ২টি, নারী ও শিশু নির্যাতন সংক্রান্ত ১টি, নাশকতা ও সন্ত্রাস বিরোধী আইনে ৩টি এবং সরকারি কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগে ৫টি মামলা। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ছদ্মবেশে ডাকাতির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ২টি মামলা থাকার কথাও জানিয়েছে র্যাব।
র্যাবের দাবি অনুযায়ী, সাহেব আলী সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার একজন চিহ্নিত ও শীর্ষ সন্ত্রাসী। তার সন্ত্রাসী কার্যক্রমে এলাকার জনগণ অতিষ্ঠ ছিল। সে ও তার বাহিনী অস্ত্রসহ শোডাউনের মাধ্যমে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে নিরীহ জনগণের কাছ থেকে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, লুটপাট, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপকর্ম করত বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার বিভিন্ন স্পটে মাদক সেবন ও কেনাবেচার সঙ্গে তার সক্রিয়তা ছিল।
র্যাব আরও জানিয়েছে যে, সাহেব আলী তার বাহিনী নিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। তার বিরুদ্ধে কথা বলায় বা তার সন্ত্রাসী কার্যক্রমে বাধা দেওয়ায় সে বহু লোককে মারধর করে গুরুতর জখম করত এবং ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করত বলে অভিযোগ আছে। এই সংক্রান্তে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ও অভিযোগ রয়েছে।
র্যাব জানিয়েছে, সাহেব আলীকে এর আগেও একাধিকবার গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তবে তাকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রায় সময় বাঁধার সম্মুখীন হতে হতো। র্যাবকে লক্ষ্য করে তার বাহিনী অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা বানচাল করার চেষ্টা করত। এই সংক্রান্ত ঘটনায়ও সাহেব আলীর বিরুদ্ধে ৫টি মামলা রয়েছে বলে র্যাব দাবি করেছে।
র্যাব জানায়, শীর্ষ সন্ত্রাসী সাহেব আলী ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়। এর ধারাবাহিকতায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। উল্লেখ্য যে, এই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রুপের ঘনিষ্ঠ ৬ জন সহযোগীকে গত ৬ অক্টোবর গাজীপুরের গাছা থানাধীন চান্দুরা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে আগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে এবং এই সন্ত্রাসী গ্রুপের অন্যান্য সহযোগীদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে অভিযান কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে র্যাব জানিয়েছে।