বুধবার, জুন ২৫, ২০২৫
Led01সিদ্ধিরগঞ্জ

সিদ্ধিরগঞ্জে ভাড়া বিবাদে প্রাণহানি: ‘গলাটিপে হত্যা’ নাকি ‘ছেলের ধাক্কা’

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: সিদ্ধিরগঞ্জে ঘর ভাড়া পাওনা নিয়ে ভাড়াটিয়ার সঙ্গে তর্কের জেরে মো. আবুল বাশার (৭০) নামের এক বাড়ি মালিকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৩ জুন) রাত সাড়ে ১১টায় সিটি কর্পোরেশনের ১নং ওয়ার্ড পাইনাদি নতুন মহল্লা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ভাড়াটিয়া পরিবারের তিন সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।

আটককৃতরা হলেন, মো. তছর উদ্দিনের ছেলে সোহাগ হোসেন (২৯), সোহাগের স্ত্রী আলেহা বেগম (২২) এবং সোহাগের মা ফাতেমা বেগম (৪৫)।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আটককৃতরা এক বছরের বেশি সময় ধরে আবুল বাশারের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছিলেন। গত তিন মাস ধরে তারা ঘর ভাড়া পরিশোধ করতে পারছিলেন না। এ কারণে বাড়ি মালিক তাদের বাড়ি ছাড়ার কথা জানান, যা নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া হতো। সোমবার রাতে বাড়ি মালিক অভিযুক্তদের ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে সোহাগ বাসায় এসে দেখতে পান তাদের বাড়ির গেট আটকানো। তিনি বাড়িওয়ালার ছেলে নাফিজ (৩৫)-কে গেট খুলে দিতে অনুরোধ করেন। একপর্যায়ে গেট খুলে দেওয়ার পর নাফিজ উচ্চ মেজাজে সোহাগের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়ান। এসময় ভিকটিমের আরেক ছেলে বাধন (৩২) ঘটনাস্থলে এসে এই বাকবিতন্ডায় যোগ দেন এবং দুই ভাই মিলে ভাড়াটিয়া সোহাগের সাথে হাতাহাতি শুরু করেন।

উভয়ের ঝগড়ার আওয়াজ শুনে সোহাগের স্ত্রী ও তার মা এবং বাড়ি মালিক আবুল বাশার এসে তাদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। ঝগড়া থামাতে গিয়ে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে ভিকটিম আবুল বাশার ধাক্কা লেগে পড়ে যান। তাৎক্ষণিক আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে প্রো-অ্যাকটিভ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে অবস্থার অবনতি দেখে সেখান থেকে না রাখলে পরবর্তীতে খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ধস্তাধস্তির সময় ভিকটিম অভিযুক্তদের ধাক্কায় নন, বরং তার নিজের ছেলে নাফিজের ধাক্কায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েছিলেন।

তথ্যটি লাইভ নারায়ণগঞ্জকে নিশ্চিত করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (অফিসার ইনচার্জ) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম বলেন, “৩ মাসের ঘর ভাড়া পাওনা নিয়ে ঝগড়া সৃষ্টি হয়। তখন ভিকটিমকে ভাড়াটিয়ারা ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় এবং তিনি আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে খানপুর হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। কিন্তু ভিকটিমের ছেলের অভিযোগ গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে। আমরা ভাড়াটিয়াদের সাথে সাথে আটক করেছি। তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজুর প্রস্তুতি চলমান।”

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতামতের বিষয়ে ওসি বলেন, “এটা আটকদের কথা। তারা বলতেই পারে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

RSS
Follow by Email