সিদ্ধিরগঞ্জে ধর্ষণের পর হত্যা: মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত সেই আসামি লালমনিরহাটে গ্রেপ্তার
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: গত ৮ ফেব্রুয়ারি সিদ্ধিরগঞ্জে গার্মেন্টস কর্মীকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় পলাতক আসামি আশরাফুল আলমের মৃত্যুদন্ড দেয় বিজ্ঞ আদালত। জেলার বিজ্ঞ নারী ও শিশু ও নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল আদালতের নাজমুল হক শ্যামল সেই রায় ঘোষণা দেন। রায় ঘোষণার ৩ দিনের মাথায় লালমনিরহাট থেকে সেই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) লালমনিরহাট জেলায় নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১১ ও র্যাব-১৩ এর যৌথ দল। গ্রেপ্তারকৃত আশরাফুল আলম লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা গ্রামের মৃত সোলেমান আলীর ছেলে। র্যাব-১১ এর মিডিয়া অফিসার এএসপি সনদ বড়ুয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান।
তিনি আরও জানান, ২০১৮ সালের ২৫ অক্টোবর সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মো. মশিউর রহমান বাদী হয়ে আসামির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু দমন আইনে মামলা দায়ের করে। মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৫ অক্টোবর সিদ্ধিরগঞ্জে সানারপাড় এলাকার রহমান টাওয়ারের চতুর্থ তলার ভাড়াটিয়া এবং গার্মেন্টস কর্মী লায়লা বেগমকে (৩০) আসামি মো. আশরাফুল আলম পূর্ব পরিকল্পিতভাবে একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরে বালিশ চাপা দিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। ভিকটিমের পরিবারের সদস্যরা নিহত লায়লার বালিশ চাপা অবস্থায় মরদেহ দেখতে পয়ে পুলিশকে জানায়। লায়লা শরিয়ত পুর জেলার গোসাইর হাট থানার দক্ষিণ ছয়গাও গ্রামের আলাউদ্দিন মাতুব্বরের মেয়ে এবং মামলার বাদী মো. মশিউরের বোন। সেই মামলায় ৮ ফেব্রুয়ারি জেলার বিজ্ঞ নারী ও শিশু ও নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল আদালতের বিচারক ফরহাদ হোসেন শেখ ওই আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদন্ড প্রদান করে। এরপর র্যাব-১১ ও র্যাব-১৩ এর যৌথ গোয়েন্দা দল অভিযান শুরু করে এবং পর্যায়ক্রমে আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলে জানায় র্যাব।