বুধবার, মার্চ ২৬, ২০২৫
Led04রাজনীতি

সিদ্ধিরগঞ্জে গণসংহতির ইফতার ও মতবিনিময়

# বিদ্যমান শাসন কাঠামোর আমূল পরিবর্তন দরকার: জাহিদ সুজন

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: গণসংহতি আন্দোলন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উদ্যোগে এক ইফতার ও মতবিনিময় সভা করেছে। সোমবার (২৪ মার্চ) রাজনৈতিক লক্ষ্য, বর্তমান শাসন কাঠামোর সংকট এবং আগামী সংসদ নির্বাচনের ধরন বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজনৈতিক, সামাজিক ও নাগরিক নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

গণসংহতি আন্দোলন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার আহ্বায়ক মাহমুদ কলি হারুনের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা কমিটির রাজনীতি ও শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক জাহিদ সুজন, মহানগর কমিটির প্রচার সম্পাদক মেহেদী হাসান উজ্জ্বল, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক জিয়াউর রহমান, সদস্য সচিব রেদোয়ান সজিব, যুগ্ম সদস্য সচিব মোঃ সোহাগ, থানা কমিটির সদস্য হাসিনা বেগমসহ সিদ্ধিরগঞ্জ থানার বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, নারায়ণগঞ্জ জেলার সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান।

ইফতার অনুষ্ঠানে বক্তারা গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক লক্ষ্য, বর্তমান শাসন কাঠামোর সংকট এবং আগামী সংসদ নির্বাচনের ধরন নিয়ে আলোচনা করেন। তাঁরা জোর দিয়ে বলেন, বিদ্যমান শাসন ব্যবস্থা গণতন্ত্রের বিকাশে বাধা সৃষ্টি করছে এবং জনগণের ক্ষমতায়নের জন্য প্রয়োজন নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত।

জাহিদ সুজন বলেন , বর্তমান রাজনৈতিক ব্যবস্থার অচলাবস্থা দূর করতে হলে বিদ্যমান শাসন কাঠামোর আমূল পরিবর্তন দরকার। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের জন্য দরকার নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত, যেখানে জনগণের অধিকার ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে। আগামী নির্বাচন শুধুমাত্র ক্ষমতার রদবদল নয়, বরং একটি সংবিধান সংস্কার পরিষদের নির্বাচন হতে হবে, যা জনগণের স্বার্থে নতুন সাংবিধানিক কাঠামো তৈরি করবে।

মাহমুদ কলি হারুন বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ সহ সারাদেশে শাসকগোষ্ঠীর দমননীতি এবং লুটপাটের রাজনীতির বিরুদ্ধে বিকল্প শক্তি গড়ে তুলতে হবে। জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য রাজনৈতিক সংগ্রাম জোরদার করতে হবে। আমরা এমন একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থা চাই, যেখানে জনগণ সরাসরি রাষ্ট্র পরিচালনায় ভূমিকা রাখতে পারবে এবং দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন প্রতিষ্ঠা হবে।

জিয়াউর রহমান বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ক্রমশ বদলাচ্ছে। সাধারণ মানুষ স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে বিকল্প খুঁজছে। আমাদের দায়িত্ব হলো, গণতান্ত্রিক চেতনার ভিত্তিতে সংগঠিত হওয়া এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে একসঙ্গে কাজ করা। স্বৈরাচারী শক্তির বিরুদ্ধে সংগঠিত গণআন্দোলনই আমাদের ভবিষ্যৎ গন্তব্য নির্ধারণ করবে।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে নেতৃবৃন্দ সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান এবং পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের পরিবেশ বজায় রাখার উপর গুরুত্ব দেন।

RSS
Follow by Email