সিদ্ধিরগঞ্জে আরও দুটি পৃথক মামলা, শেখ রেহেনা-শামীম ওসমানসহ আসামী ৩২১
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জে আরও দুইটি পৃথক হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারী) আদালতের নির্দেশে এ মামলাগুলো দায়ের করা হয়। এর আগে বাদী মো. আলহাজ্ব ও আবুল হোসেন তালুকদার আবেদন করলে আদালত এ নির্দেশ দেয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম।
জানা যায়, বাদী মো. আলহাজ্ব (১৮) এর দায়ের করা এ মামলায় আসামী করা হয়েছে শেখ রেহেনা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ওবায়দুল কাদেরসহ ২৬৮ জনকে। গতবছরের ২০ জুলাই বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি মিছিলে যুক্ত হন বাদী। এসময় মামলায় উল্লেখিত আসামিদের আর্থিক ও অস্ত্র সহায়তায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিলে হামলা চালায়। হামলাকারীদের ছোড়া গুলিতে বাদী আহত হন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
এদিকে আরেক বাদী মো. আবুল হোসেন তালুকদার (৪৬) থানায় আরেকটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, সেলিম ওসমানকে, অয়ন ওসমান, আজমেরী ওসমান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ এজাহার নামীয় মোট আসামি করা হয় ৫৩ জন। এ মামলাতে অজ্ঞাত আসামী করা হয় আরও ৩০০ জনকে।
ওসি শাহিনুর লাইভ নারায়ণগঞ্জকে বলেন, মো. আলহাজ্ব ও আবুল হোসেন তালুকদারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত মামলা রুজু করার নির্দেশ দিয়েছেন। একটি মামলার আসামি ২৬৮ জন এবং আরেকটিতে ৫৩ জন। মামলাগুলোতে অজ্ঞাত হিসেবে ৬০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। সেই দুটি আবেদনও মামলা হিসেবে রুজু করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
প্রসঙ্গত, এছাড়াও গত ২৬ ডিসেম্বর বৈষম্য বিরোধী আন্দলেনে আহত মো. সাব্বির (২০) বাদি হয়ে জেলার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো. নূর মহসীনের আদালতে শামীম ওসমান, ওয়ন ওসমান, আজমেরী ওসমানসহ ১৫৬ জনের নামে হত্যা চেষ্টার মামলার আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত সিদ্ধিরগঞ্জ থানাকে সার্বিক বিবেচনায় আবেদনটি গ্রহণ করার নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে ২ জানুয়ারি মামলাটি সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় এফআইআর হিসেবে নথিভুক্ত হয়।