রবিবার, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৫
Led02অর্থনীতি

সামগ্রিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে: মোহাম্মদ হাতেম

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: ভুল তথ্য ও উপাত্তের ভিত্তিতেই স্বল্পোন্নত দেশ (LDC) থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের (Graduation) সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ নিট পোশাক উৎপাদক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। তিনি অভিযোগ করেন, আগের সরকার দেশের অর্থনীতিকে অতিরঞ্জিত ও ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখিয়েছিল, যা বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।

শনিবার অর্থনীতিবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত এক সেমিনারে মোহাম্মদ হাতেম এই দাবি করেন। তিনি বলেন, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের সিদ্ধান্ত এমন কিছু তথ্যের ওপর ভিত্তি করে নেওয়া হয়েছে যা প্রকৃত অর্থে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি প্রতিফলিত করে না। এর ফলে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের জন্য বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।

মোহাম্মদ হাতেম আরও বলেন, “আগের সরকার ভুল তথ্যের মাধ্যমে অর্থনীতিকে এমনভাবে উপস্থাপন করেছিল, যা আমাদের এই ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্তের দিকে ঠেলে দিয়েছে।” তার মতে, এই ধরনের সিদ্ধান্ত বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়ায় দেশের রপ্তানি খাতসহ সামগ্রিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

তিনি আরও বলেন, গত ত্রিশ বছরে যে ৮টি দেশ এলডিসি থেকে গ্রেজুয়েশনে উত্তীর্ণ হয়েছে সে দেশগুলো অত‍্যন্ত ছোট ছোট দেশ যার অধিকাংশই দ্বীপ , বাংলাদেশের মত তাদের কোন রপ্তানি নেই, ফলে তাদের হারাবার কিছু নেই। দেশের রপ্তানি খাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমরা দেশের সকল ব‍্যব্যবসায়ী সমাজ ছয় বছরের জন্য এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন পিছাবার অনুরোধ করেছি। অতীতে এ ধরনের পিছাবার নজির রয়েছে।

সেমিনারে অন্যান্য বক্তারাও এলডিসি উত্তরণের প্রস্তুতির অভাব এবং এর সম্ভাব্য নেতিবাচক দিক নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, জিএসপি প্লাস-এর মতো নতুন বাণিজ্য সুবিধা না পেলে রপ্তানি খাতে শুল্ক সুবিধা কমে যাবে, যা বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতায় সক্ষমতা হ্রাস করবে। যদিও অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, যেহেতু এটি জাতিসংঘের একটি নির্ধারিত প্রক্রিয়া, তাই এলডিসি উত্তরণ ঠেকানো আর সরকারের হাতে নেই। এখন একমাত্র উপায় হলো পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নেওয়া এবং নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত হওয়া।

RSS
Follow by Email