শুক্রবার, মার্চ ১৪, ২০২৫
Led02অর্থনীতি

সাধ্যের মধ্যে কেনাকাটা করতে উদ্বোধন হলো ‘লুৎফার টাওয়ারের মার্কেট’র দ্বিতীয় শাখা

# ঢাকার থেকেও কিছুটা ভালো মানের পোষাক আছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইভ নারায়ণগঞ্জ: দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদ। আর মাত্র কয়েকদিন বাকী। ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। আর এই ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে ধনী দরিদ্র সবাই যার যার মতো করে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ছোট-বড়বড়, ধনী-দরিদ্র সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন ঈদ কেনা কাটায়। ঈদকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জে সর্বত্রই জমে উঠেছে কেনাকাটা। বঙ্গবন্ধু সড়কের পাশে জনপ্রিয় আধুনিক দৃষ্টিনন্দন মাকের্ট হলো ‘লুৎফার টাওয়ারের মার্কেট’।

ঈদ থেকে শুরু করে সারাবছরই বেশ জমজমাট থাকে এখানে। সাধ আর সাধ্যের মধ্যে ধনীদের পাশাপাশি নিম্ন আয়ের লোকজনদের কাছেও এই মার্কেট জনপ্রিয়। বিশেষ করে তুলনামূলক অল্প দামে পছন্দের পোশাক, জুতা, স্যান্ডেল, অন্য প্রসাধনীসহ পছন্দের পণ্য কিনতে তারা এখানে ভিড় করছেন। তারই ধারাবাহিকতায় মানুষের চাহিদা পূরণে লুৎফার টাওয়ারের মার্কেট’র দ্বিতীয় শাখা উদ্বোধন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ব্যাপক জমজমাট হতে শুরু করেছে এই মার্কেট।

নারায়ণগঞ্জে বিষফোঁড়া হলো ফুটপাতে হকার ও নগরীর তীব্র যানজট। তিনটি থানা, দুটি সংসদীয় আসন ও সিটি কর্পোরেশনের সমন্বয়ে গঠিত মূল শহর। অন্য দিকে ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠেছে নারায়ণগঞ্জে পোষাক মার্কেটের বেচাবিক্রি। ক্রেতাদের আনাগোনায় সরগরম হয়ে উঠেছে মার্কেটটি। নানা সাজে দোকান সাজিয়ে আকর্ষিত করছে বিক্রেতারা। ঈদের জন্য উঠানো মালামালে পূর্ণ সব দোকান। ক্রেতারা এত দোকান একসঙ্গে পেয়ে নিজেদের খুশিমতো কেনাকাটা করতে পেরে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। নিম্ন আয়ের মানুষের পাশাপাশি অনেক নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত লোকজনও তাদের দোকানে কেনাকাটার জন্য আসছেন। কম বাজেটের মধ্যে ক্রেতাদের পছন্দ হয় এমন বাহারি নকশা ও রঙের সব পোশাকের সংগ্রহ রয়েছে লুৎফা টাওয়ার মার্কেটের দ্বিতীয় শাখা জুড়ে। তাই ক্রেতাদের কোনো না কোনো জিনিস পছন্দ হচ্ছে আর কিনেও নিচ্ছেন।

এদিকে, মেয়েদের পোশাক, শিশুদের পোশাক, প্রসাধনী, পুরুষদের পোশাক যেমন- জিনস ও গ্যাবার্ডিন প্যান্ট, শার্ট, টি-শার্ট, পাঞ্জাবি, ট্রাউজার, জুতা, বেল্ট, ক্যাপ, লুঙ্গি, মানিব্যাগসহ বিভিন্ন সামগ্রী প্রদর্শন করে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন বিক্রেতারা।

নতুন মাকের্টে শপিং করতে আসা ক্রেতারা জানায়, লুৎফা টাওয়ারের যে মাকের্টের শাখাটি আছে এটি আসলে অস্বাধারণ। দাম কম ও অনেক জাকজমকপূর্ণ। নতুন অবস্থায় বেশ জমে উঠেছে। স্টাফদের ব্যবহার খুব ভালো। ঈদের বাজার অনুয়ায়ি দাম মোটামুটি, ড্রেসের মানও বেশ ভালো। এখানে এসে ভালো লাগছে। অনেক সুন্দরভাবে সাজিয়েছে। ঢাকা থেকে এখানে এসেছি, ঢাকার থেকেও কিছুটা ভালো মানের পোষাক আছে।

দোকানের কর্মচারীরা জানায়, এখনো তেমন চাপ পড়েনি অন্যান্য বছরের ন্যায়, আগে যেমন একটা ভির থাকতো এখনো সেটা পড়েনি। আমরা আশাবাদি সামনে সেটা হবে। দুপুর ১২টার পর টুকটাক বেচাবিক্রি থাকলেও সন্ধ্যায় কিছুটা চাপ পড়ে, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করি কাস্টমারকে ভালো সার্ভিস দেয়ার চেষ্টা করি।

একাধিক দোকান মালিক ব্যবসায়ীরা জানায়, শবেই বরাত থেকে আমাদের মোটামুটি একটু সেল ভালো হয়েছে। আমরা আশা করছি আগামিতে সেল হবে। এই মাকের্টের একটা সুবিধা হলো এখানে মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা করতে পারে এখানে খালি স্পেস আছে। স্টাফদের নির্দেশনা দেয়া আছে যাতে কাস্টমান সার্ভিস ভালোভাবে দেয়া হয়। আমরা মার্কেট মালিকরা মিলে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহন করেছি যাতে কোন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়। গতবছরের মতো বিক্রি না হলেও বাকিদিন গুলো ভালো বিক্রি হবে আশা করি। আর কয়েকদিন পর বেচাকেনা শুরু হবে। আমাদের এখানে প্রাইজ কমে ভালো জিনিস কিনতে পারবে।

নারায়ণগঞ্জ দোকান মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাদাৎ হোসেন জানান, আমরা ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে যাবো, যাতে করে তারা আমাদের ক্রেতাদের সার্বিক আইনী সহায়তা দেয়।

RSS
Follow by Email