সলিমুল্লাহ সড়ক এখন ওয়ান ওয়ে, ভোগান্তি চরমে
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: ঈদ পর্যন্ত হকারদের হলিডে মার্কেট বসবে শুক্র-শনিসহ অন্যান্য বন্ধের দিনগুলোতে। হলিডে মার্কেটটি নবাব সলিমুল্লাহ সড়কের একপাশ বন্ধ করে চলছে বেচা কেনা। একপাশ বন্ধ রেখে অন্য পাশে যানবাহণের জন্য সচল রাখায় ওয়ান ওয়ে রোডে পরিনত হয়েছে নবাব সলিমুল্লাহ সড়ক। যাত্রীরা চাষাঢ়া থেকে খানপুরে বাস-রিকশা যোগে যেতে পারলেও একই সড়ক দিয়ে ফিরতে পারছে না। সামান্য মিশন পাড়া থেকে চাষাঢ়া যেতে হলে যাত্রিদের আমলাপাড়া দিয়ে বঙ্গবন্ধুসড়ক হয়ে যেতে হচ্ছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পরেছে এ পথে চলাচলকারীরা। রবিবার (১৭ মার্চ) দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায় এমন ভোগান্তির দৃশ্য।
চাষাঢ়া যাওয়ার পথে ইজিবাক অটোসহ পায়ে চালিত রিকশাও ঢুকতে দিচ্ছে না ট্রাফিক পুলিশ। এদিকে ছুটির দিন হওয়ায় ব্যাপক ক্রেতার সমাগম ঘটেছে হলিডে মার্কেটে। কিন্তু ভোগান্তিতে পড়েছে ওই সড়কে চলাচলকারী নগরবাসী। সামান্য খানপুর থেকে চাষাঢ়া যেতে যাত্রিদের আমলাপাড়া দিয়ে বঙ্গবন্ধু সড়কে এসে প্রেস ক্লাব ভবনের সামনে দিয়ে যেতে হচ্ছে। এতে রিকশা ও ইজিবাইকের মতো যানবাহনে গুনতে হচ্ছে বাড়তি পয়সা। মাধবি প্লাজাসহ আশেপাশের জায়গায় নগরবাসীর যেতে হচ্ছে পায়ে হেটে। এ অবস্থায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নগরবাসী।
চৌধুরিবাড়ি এলাকার গৃহিণী আসমা খানম বলেন, চাষাঢ়া বালুর মাঠের অ্যাপোলো হাসপাতালে আমার বোন চিকিৎসাধীন। প্রতিদিন বোনের কাছে ৩ বেলা খাবার নিয়ে যেতে হয় আমাকে। চৌধুরিবাড়ি থেকে অটোতে খানপুর পর্যন্ত আসি, এরপর চাষাঢ়া যেতে রিকশা চালকারা ৪০ টাকাও ভাড়া চায়। তারা কারণ দেখায় আমলাপাড়া দিয়ে মর্ডানের সামনে দিয়ে ঘুরে যেতে হবে। আমার হাতে যে খাবারের ব্যাগগুলো আছে সে গুলো নিয়ে হেটে যাওয়া ও সম্ভব নয়, তাই বাধ্য হয়েই বেশি ভাড়া দিয়ে যাচ্ছি।
পঞ্চবটি এক পোশাক দোকানের কর্মী অনিক হোসেন বলেন, মানুষের জন্য মানুষ এটা বড়। তবে একজনের উপকারের জন্য অন্যর ক্ষতি হচ্ছে । এই সড়কে অনেকেই অটো দিয়ে যাওয়া আসা করতো। কিন্তু এখন অটোগুলো আমলাপাড়া পর্যন্ত এসে থামিয়ে দেয়। তাছাড়া এই সড়কে তিন রাস্তার মোড় হওয়ায় সর্বক্ষন জ্যাম লেগেই থাকে। হকাররা আগেই ভালো যায়গায় ছিলো, ফুটপাতে হাটতে না পারলে সড়কে নামতাম। সড়কে যানবাহনে জ্যাম লাগলেও ২০-২৫ মিনিট পর ছুটে যেতো। কিন্তু এখন তো সড়কই বন্ধ।
এসময় নবাব সলিমুল্লাহ সড়কের দায়িত্বে কর্মরত কমিউনিটি ট্রাফিক পুলিশ ফজলুল করিম বলেন, আমাদের আদেশ দেওয়া হয়েছে যে অ্যাম্বুলেন্স বাদে কোন যানবাহন এই সড়কে যে সাইড খোলা আছে সেখান দিয়ে খানপুরের দিকে আসতে পারবে, তবে বিপরিত দিকে যেতে পারবে না। তাদের আমলাপাড়া বা ডনচেম্বারের সড়ক ব্যবহার করতে হবে। আমরা আদেশ অনুযায়ি দায়িত্ব পালন করছি। সকাল থেকে আমরা বিভিন্ন যানবাহন ফিরিয়ে দিচ্ছি। কিছু কিছু প্রভাবশালী স্থানীয়রা এসে তর্কে জড়াচ্ছেন। কিন্তু আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি।
সচেতন নগরবাসী বলছে, হলিডে মার্কেট খানপুর হাসপাতালের সামনের বিশাল সড়ক, জিমখানা মাঠ, অক্টোঅফিস ইদগাহ মাঠ, জিয়া হলের ফাকা অংশে করা গেলে সড়ক মুক্ত থাকতো। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে সংশ্লিষ্টদের ভেবে দেখার দাবি সবার।