সরকারি দপ্তরগুলো ৫০ ভাগ সেবা দিলেও মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পারে: ডিসি
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বলেছেন, দুর্নীতি এদেশে নতুন নয়। এটি অনেক পুরোনো। চানক্যের অর্থশাস্ত্রে দুই হাজার বছর আগে বলা হয়েছে, এই ভূখণ্ডে চল্লিশ প্রকারের দুর্নীতি হতে পারে। দুদকের আজকের আয়োজন সরকারি অফিসে সেবাপ্রার্থীরা কী ধরনের হয়রানি হচ্ছেন তা জানতে। সরকারি দপ্তরগুলো যদি ৫০ ভাগ সেবাও দিতে পারে তাও মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পারে। তবে আমাদের কিছু সিস্টেমেটিক ত্রুটি আছে। আমার অফিসে প্রতিদিনই গণশুনানি হয়। সকাল থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সেবাপ্রার্থীরা যান।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) নারায়ণগঞ্জে দুর্নীতি দমন কমিশনের আয়োজিত গণশুনানিতে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন শিল্পকলা একাডেমিতে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শুনানি চলে।
গণশুনানিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক।
দুদককে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের জনগণের মধ্যেও সমস্যা আছে। জমির মালিক না হয়েও অনেকে ভুয়া কাগজপত্র করে জমির মালিক হয়ে যাচ্ছেন। এখানে সাধারণত বিভিন্ন জেলার মানুষ এসে জমি ক্রয় করেন। এদের অধিকাংশই সেই জমিটি বেশ কয়েক বছর খালি রাখেন। সেই খালি জমিটি তার অনুপস্থিতিতে দখল হয়ে যাচ্ছে। এরকম অনেক জমি, টাকা উদ্ধারের কাজ প্রতিনিয়ত আমার করতে হচ্ছে। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, আইনের শাসন নিশ্চিন্তকরণসহ বহু কাজ আমাদের করে যেতে হবে। দুদকের এই গণশুনানি চমৎকার একটি আয়োজন। দুদককে ধন্যবাদ জানাই নারায়ণগঞ্জ জেলায় এমন আয়োজনের জন্য। আমরা চাই যেন কোনো দুর্নীতি, ঘুষ না থাকে।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, আজকে দুর্নীতি দমন কমিশনের যে গণশুনানি হলো, এখানে বিভিন্ন মানুষি তাদের অভিযোগ জানালেন। আয় বহির্ভূত সম্পদের অভিযোগও আমরা পেয়েছি। মোট ৫৫টি অভিযোগ এখানে পেয়েছি। তার মধ্যে ৫টি অভিযোগ তন্দন্তের জন্য নেওয়া হয়েছে, এটি প্রমানিত হলে পরে এটি মামলার দিকে যাবে। এছাড়া ৫০টি অভিযোগের এখানে তাৎক্ষনিক প্রতিকার দেওয়া হয়েছে। আপনারা দেখেছেন বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ এখানে রয়েছেন, এমনকি আমার দপ্তরেরও কয়েকটি অভিযোগ এখানে রয়েছে। সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন দপ্তরের কাউকে এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে, আবার কাউকে পাঁচ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে। অনেককে আবার আজকের কথাও বলা হয়েছে। সুতরাং এই গণশুনানি অত্যন্ত সার্থক এবং সফল হয়েছে।
আরও উপস্থিত ছিলেন- দুর্নীতি দমন কমিশনের ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মোরশেদ আলম, দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মাজহার হোসেন মাজুম।