সবাই সবার অতীত জানি, দাম্ভিকতা ভালো না: শাহ নিজাম
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের মাদক বিরোধী সংগঠন ‘প্রত্যাশা’র উদ্যোগে অসহায় ও দরিদ্র পরিবারের মাঝে, ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেছেন মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম। রবিবার (৭ এপ্রিল) বিকেলে ফতুল্লা সস্তাপুর বুড়ির দোকান এলাকা, কুতুবপুর চিতাশাল কুতুবপুরের শাহী মহল্লা মোহাম্মাদিয়া মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন এলাকায় ওই ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এসব প্রোগ্রামে মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম নেতৃত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এইচ এম ইসহাক, কুতুবপুর আওয়ামী লীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন, কুতুবপুর সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মীর হোসেন মীরু, কুতুবপুর ইউনিয়ন নারী কল্যান সংস্থার সভাপতি রুবিনা আক্তারসহ নেতৃবৃন্দ।
শাহ নিজাম বলেন, কিছুদিন আগে এই এলাকায় কিছু লোক এসে নানা ধরনের বক্তব্য দিয়ে গেছে কিন্তু আমি সে বিষয়ে কিছু বলবো না। গতকাল আমি আমার শশুর শাশুড়ির কবর জিয়ারত করার জন্য আজিমপুর গিয়েছিলাম। গাড়িতে বসা অবস্থায় আমাকে একজন এই বক্তব্যর লিংক পাঠিয়েছে। সেই বক্তব্য ছিল এক অশালীন, অযৌক্তিক ও মিথ্যে বক্তব্য। বক্তব্য শুনে আমার খুব খারাপ লেগেছিল। আমার পাশে আমার স্ত্রীও বসে ছিল, সেও আমাকে জিজ্ঞেস করছে ওরা এগুলো কি বলছে। আমি কিছু না বলেই কবরস্থানে চলে যাই, সেখানে গিয়ে নিজেকে প্রশ্ন করি এই কবরস্থানে কত মানুষ শুয়ে আছেন। কত ধনী- গরিব সকলে এখানে মৃত্যুর পরে শুয়ে আছেন। এত দাম্ভিকতা ভালো নয় একদিন চলে যেতে হবে। নারায়ণগঞ্জ খুব একটা বড় জায়গা নয়, আমরা সবাই সবার সম্পর্কে জানি। কে কি রকম সেটা নিয়ে আমি বক্তব্য দেবো না।
তিনি আরও বলেন, ঐ কবরস্থান দেখে আমার হৃদয় কেঁদেছে। আমি দোয়া করেছি হে আল্লাহ যারা মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা রাজনীতি করে মানুষের অকল্যাণের কথা বলে তাদেরকে তুমি হেদায়েত করো, তাদেরকে তুমি সাহায্য করো। আমি গত ১৫ বছর থেকে শামীশ ওসমানের নির্দেশে আপনাদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। আপনাদের যাতে কল্যাণ হয় সেই চেষ্টা করেছি। শেষে এখন আপনাদের কাছে এসেছি একটু দোয়া ভিক্ষা করার জন্য। যদি বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ বানাতে যিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আমি তার দোয়া জন্য আপনাদের কাছে ছুটে এসেছি। আল্লাহতালা তাকে যেন সুস্থতা দান করেন। আমরা যেখানে পরিচয় দেই যে আমরা শামীম ওসমানের লোক সেখানেই মানুষ আমাদের সম্মান করে, আমাদের এক কাপ চায়ের জন্য হলেও দাওয়াত দেয়। তারা দাওয়াত দেয় কারণ আমরা শামীম ওসমানের লোক বলে। আপনারা তার জন্য দোয়া করবেন। আমি যদি মিথ্যা বলি তাহলে আপনারা বিচার করবেন। গত ৩৮ থেকে ৩৯ বছর আমি একটা মানুষের সাথে রাজনীতি করি। এই বছরগুলোতে আমার স্বার্থের জন্য যদি কোন কাজ করে থাকি, আর সেজন্য একেএম শামীম ওসমানের সাদা পাঞ্জাবিতে কোন দাগ লেগে থাকে তাহলে মাটিতে নাকে খত দিয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে চলে যাব। আমরা শামীম ওসমানের নির্দেশে এমন কোন কাজ করি না যাতে তার সাদা পাঞ্জাবিতে কোন দাগ লাগবে। আমরা সেই নির্দেশেই রাজনীতি করি।
তিনি আরও বলেন, এই এলাকার মানুষ পানির নিচে ডুবে ছিল। বৃষ্টি আসলে বাসার ভিতরে পানি এসে পরতো। খাটের নিচে ইট দিয়ে উটু করে মানুষ বসবাস করত। তখন রান্নাঘরে রান্না করার সুযোগ ছিল না। আমার কাছে আপনারা গিয়েছিলেন এই সমস্যা নিয়ে। আমি শামীম ওসমানকে জানানোর পর তার হৃদয় রক্তক্ষরণ হয়েছে। সে প্রধানমন্ত্রী মাধ্যমে আপনাদের দূষিত পানির জলাবদ্ধতা থেকে বাঁচিয়েছে। ইনশাল্লাহ আগামী জুন অথবা জুলাইয়ে মধ্যে এই ডিএনডির কাজ শেষ হবে। আমি এখানে প্রিয় নেতা শামীম ওসমান আপনাদের জন্য যে কষ্ট করেছেন সেগুলো পৌঁছে দিচ্ছি।