রবিবার, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪
Led01জেলাজুড়েরাজনীতিসদর

সপরিবারে ভোট দিলেন শামীম ওসমান

লাইভ নারায়ণগঞ্জ : মাসদাইর আদর্শ স্কুল ভোটকেন্দ্রে ভোট দিলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের বর্তমান এমপি ও দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ (নৌকা) প্রার্থী একেএম শামীম ওসমান।

৭ জানুয়ারি (রবিবার) দুপুর ৩টা নাগাদ ভোটপ্রদান করেন তিনি। এসময় তার সাথে ছিলেন তার সহধর্মিনী সালমা ওসমান লিপি , জ্যেষ্ঠ সন্তান ইমতিনান ওসমান অয়ন এবং তার স্ত্রী ইরফানা আহমদ রাস্মী ও তার ছেলে যোহা ইফরাইম ওসমান আর্জিয়ান। তার সাথে আরও ছিলেন কন্যা লাবিবা জোহা।

এসময় তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্ন করেন, কেউ কোনও অশান্তির খবর পেয়েছে কী না। নিশ্চিত হয়ে তিনি বলেন, যেহেতু আপনারাই কোনও অশান্তির খবর পাননি, মানে এবার শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে। আমি আমার নাতীকে নিয়ে এসেছি ভোট দিতে। ইন শা আল্লাহ ১২-১৩ বছর পর ভোট দিবে ওরা। আমাদের ভবিষ্যৎ ছিলো বঙ্গবন্ধু, ওদের ভবিষ্যৎ শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে ফেলার পর আমাদের স্বপ্ন চুড়মার হয়ে গেছে, আমরা এখন জাপানের মত উন্নত দেশ থাকতাম।

তিনি আরও বলেন, ফতুল্লায় কাল রাতে একটা সেন্টারে আগুন দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। আমাদের দলীয় নেতাকর্মীরা তখন সেখানে ছিলেন না। কিন্তু এলাকার মানুষ বুঝতে পেরে তাদের ঘেরাও করে ফেলে। বাকি সব পালিয়ে গেলেও একজন ধরা পড়ে। ধরা পড়ার পর জনগণ ক্ষেপে গেলে যা হয় তাই হয়, এরপর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। আমি কয়েকটা সেন্টারে দেখলাম সবাই স্ফতস্ফূর্তভাবেই ভোট দিচ্ছে, নারী ভোটারদের উপস্থিতি লক্ষণীয়। স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ যারা মানুষ তারা একটু ভয় পায়। আমার যেন কেন মনে হচ্ছে, শর্ষের ভিতরেও ভূত আছে। যারা নির্বাচন পরিচালনা করছেন, তাদের ভিতর ভূত আছে। আমি আমার এলাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে খবর পেয়েছি। অনেকেই চাচ্ছেন, তারা ছোট ছোট কর্মকর্তা, তারা চাচ্ছেন ভোটটাকে ঘুরাতে। একবার ওই রুমে পাঠায়, একবার এই রুমে পাঠায় একবার উপরে পাঠায়। এভাবে একটা মানুষ যখন ক্লান্ত হয়ে যায় দুইবার চেষ্টা করে, তৃতীয় বার সে আর ভোট দিতে চায় না। নির্বাচন কমিশনের কোনও রুলস নেই, কিন্তু বলা হচ্ছে মোবাইল ফোন নিয়ে কেন্দ্রে ঢোকা যাবে না। আমার কয়েকটা এলাকা থেকে শত শত ভোটার চলে গেছেন। পরে আমি রিটার্নিং অফিসারকে জানিয়েছি, তিনি সাথে সাথে বলেছেন এমন কোনও আইন নাই। তিনি ওই কয়টা সেন্টারে বলে দিয়েছেন সাথে সাথে, কিন্তু ততোক্ষণে হয়তো ২-৩ হাজার ভোটার ফিরে গেছেন। এরকম কিছু কিছু লোক আছেন কিছু কিছু সেন্টারে, তারা সরকারি কাজে সেন্টারে এসেও অন্য পারপাস সার্ভ করছে।

এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, রাজনৈতিক সহিংসতায় পুড়ছে সাধারণ মানুষ এর জবাবদিহীতা কারা দিবে? তখন শামীম ওসমান বলেন, যারা মারছে তারাই দিবে। আমি আমার জায়গা থেকে সোচ্চার হচ্ছি, আপনারা সোচ্চার হচ্ছেন না কেন? আমি আমার দলের বিরুদ্ধে যদি খারাপ দেখি, আমি কথা বলবো। আপনারা সাংবাদিকরা যদি নিজস্ব আইডিয়া কাজে লাগিয়ে যেটা অন্যায় তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন, আমার বিশ্বাস এখন যে ইয়াং জেনারেশন আছে তারা কিন্তু প্রচণ্ড সচেতন। টুইটারকে আমেরিকা ও অন্যান্য দেশগুলো তাদের শোকজ করেছিলো, তোমরা কেন ইসরাইলের বিরুদ্ধে কথা বলছো? তখন তারা বলেছিল, আমরা বলছি না। টূইটারে কথা বলছে সারা বিশ্বের ইয়াং জেনারেশন । ইসরাইলের এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তারাই কথা বলছে।

 

RSS
Follow by Email