সজিব হত্যা মামলা: ১৩ মাস পর শেখ হাসিনা-শামীম ওসমানসহ ৪৫ জন অভিযুক্ত
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত মোহাম্মদ সজিবের মৃত্যুর ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং সাবেক এমপি এ কে এম শামীম ওসমান-সহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। একইসঙ্গে অজ্ঞাতনামা আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
নিহত সজিবের বাবা মো. সালাউদ্দিন বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন। শহীদদের গেজেট তালিকায় সজিবের নাম ৫৩৬ নম্বরে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রায় ১৩ মাস পর তার আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা মামলাটি নথিভুক্ত করে। গত ৪ সেপ্টেম্বর রাতে মামলাটি দায়ের করা হলেও বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (অফিসার ইনচার্জ) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম।
মামলার এজাহারে আরও যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন: কৃষক লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও সিদ্ধিরগঞ্জ পৌরসভার সাবেক প্রশাসক আব্দুল মতিন প্রধান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক মতিউর রহমান মতি এবং সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহজালাল বাদল।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, নিহত সজিব সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকার একটি হার্ডওয়্যার দোকানের কর্মচারী ছিলেন। ২০২৪ সালের ২২ জুলাই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শান্তিপূর্ণ মিছিলে তিনি যোগ দেন। এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, সেই আন্দোলন দমনে শেখ হাসিনার নির্দেশে, ওবায়দুল কাদেরের পরিকল্পনায় এবং শামীম ওসমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা সশস্ত্র অবস্থায় আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি ও হামলা চালান।
বেলা আনুমানিক ১১টা ৩০ মিনিটে গুলিবিদ্ধ হয়ে সজিব ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন। তাকে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালে নেওয়া হলে দুপুর ১টা ২০ মিনিটে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মামলার বাদী সালাউদ্দিন এজাহারে আরও উল্লেখ করেন, ঘটনার পর থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। পরে তিনি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য সংগ্রহ করে আদালতে মামলা দায়ের করেন, যা আদালতের নির্দেশে থানায় নথিভুক্ত করা হয়েছে।