বুধবার, জুন ৪, ২০২৫
Led01বিশেষ প্রতিবেদন

সচল হলো নগরীর সিরাজউদৌলা সড়ক, স্থানীয়দের স্বস্তি

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: রজমান থেকে প্রায় ৩ মাস পর যানবাহন চলাচলের জন্য সচল করা হয়েছে নগরীর নবাব সিরাজউদ্দৌলা সড়ক। দীর্ঘ দিন পর ঈদুল আযহার কথা মাথায় রেখেই সড়কটি সচল করে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন। এতে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন কর্মজীবী মানুষ, স্কুল-কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা। তবে পিচ ঢালাই না করায় বৃষ্টিতে কাদামাটির কারণে হওয়া ভোগান্তির কথাও উল্লেখ করেছেন অনেকেই।

সোমবার (২ জুন) নগরীর নবাব সিরাজউদ্দৌলা সড়কে সরেজমিনে দেখা মেলে এমন চিত্রের। কদিন আগেও এ সড়কে ছিলো বিশাল বিশার গর্ত, পাশে এক হাত জায়গা ছিলো হেটে যাওয়ার মতো। জণগনের সাময়িক সমস্যার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে এনসিসির জানিয়েছিলো পাইপ লাইন বসিয়ে জুনের ৪ তারিখের মধ্যে রাস্তাটা যাতায়াতের জন্য সচল করে দেওয়া হবে। প্রতিশ্রুতি মতোই পাইপ লাইনের কাজ শেষ করেই উপরে ইট-বালি দিয়ে সড়কটি সচল করেছে কতৃপক্ষ। সড়কে পথচারীর পাশাপাশি চলাচল করতে দেখা গেছে মরোসাইকেল, রিকশা, অটো, ভ্যান ও পিকআপেরসহ বিভিন্ন পরিবহন ও গণপরবিহন।

এসময় পথচারী আসফাক বলেন, শহরের সব থেকে ব্যস্ততম সড়ক হলো বঙ্গবন্ধু সড়ক ও নবাব সিরাজউদ্দৌলা সড়ক। বৃষ্টি হলেই সড়কগুলোতে জলাবদ্ধতার পাশাপাশি কাদামাটি ও ময়লার সমস্যা দেখা দিতো। রমজানের পর থেকেই এই সড়কগুলোর বিভিন্ন জায়গায় কাজ চলছে। ঈদুল ফিরতেও এই সড়কে যানবাহন চালতে পারে নাই। তবে কোরবানির আগে রাস্তাটা সচল করে দেওয়া সুবিধা হয়েছে। কারণ দেখা গেছে খানপুর থেকে ২ নং রেল গেটে রিকশায় যেতে হলে চাষাঢ়া ঘুরে নিয়ে যেত। রিকশা ভাড়াও রাখতো ৬০ থেকে ৭০ টাকা। কিন্তু এখন আর চাষাড়া ঘুরে যেতে হবে না।

স্থানীয় বাসিন্দা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সড়কটা সচল হওয়ায় ভালো হয়েছে। এভাবেই বঙ্গবন্ধু সড়ক ও শায়েস্তা খাঁ সড়কের কাজগুলো তাড়াতাড়ি শেষ করলে আরও হবে। নারায়ণগঞ্জে যে সড়ক আছে সেগুলো সব সময় খুবই ব্যস্ত থাকে। সামান্য কোন নির্মান কাজ করলেও জণগনের ভোগান্তি পোহাতে হয়। এই সিরাজউদ্দৌলা সড়কে কাজ চলাকালীন সময়ে সম্পূর্ন চাপটা পড়েছে বঙ্গবন্ধু সড়কে। এখন এটা সচল হওয়া যানবাহনের চাপ কিছুটা কমবে। ঈদের আগে জণগনের চিন্তা করেই এনসিসি রাস্তাটা ইট বালি দিয়ে সচল করেছে। তবে এখন বৃষ্টি হচ্ছে প্রতিনিয়ত, পিচ ঢালাই না হওয়ায় কাদামাটির একটা ভোগান্তি পোহাতে হবে।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল আজিজ বলেন,‘সামনে কোরবানির ঈদকে মাথায় রেখেই দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমরা এই কাজটা শেষ করেছি। বাকি যে কাজটুটু আছে সেটাও শেষ হয়ে যাবে। আগের যে ড্রেনের ব্যবস্থা ছিলো সেটায় বৃষ্টির পানি বের হতে সময় লাগতো। তবে এবারের পাইপ লাইন বসানোর পর আপনারা দেখতে পারবেন যে অতি দ্রুত পানি সড়ক থেকে সড়ে যাচ্ছে। এতোদিন যে জণগনের কষ্ট হয়েছে সেটা নিয়ে আমরা আবারও দুঃখ প্রকাশ করছি। তবে এই সড়কের নির্মাণ কাজটা শেষ হলে সড়কে জলাবদ্ধতার সমস্যা আর নারায়ণগঞ্জবাসীকে পোহাতে হবে না। মেট্রোরেলের নিমার্ণের সময়ও স্থানীয়দের অনেক ভোগাস্তি পোহাতে হয়েছে। আবার নির্মানের পর তারাই বেশি উপকৃত হয়েছে। জণগনকে বলবো আপনারা একটু ধৈর্য ধরেন, আমাদের কর্মকর্তাদের মধ্যে আন্তরিকতার কোন ঘাটতি নেই। দিন রাত পরিশ্রম করে আমরা চেষ্টার করছি কাজটা এগিয়ে নেওয়ার।’

RSS
Follow by Email