নগরীতে সনাতন ধর্মালম্বীদের বিক্ষোভ ‘সকল বৈষম্য দূর করার আহবান’
লাইভ নারায়ণঞ্জ: সারাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন, বাড়িতে ও মন্দিরে হামলার প্রতিবাদে নগরীতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে সনাতন ধর্মালম্বীরা। রবিবার (১১ আগস্ট) বিকেলে চাষাঢ়া এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে তারা।
অবরোধে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ডের মাধ্যমে তারা বিভিন্ন দাবি-দাওয়া জানান। এসময় জাতীয় পতাকা হাতে সনাতনীদের শ্লোগানে চারপাশ প্রকম্পিত হয়ে উঠে। সড়ক অবরোধের পর সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় চাষাঢ়ায় এসে ফের সড়ক অবরোধ করে।
এসময় হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিখণ সরকার শিপন বলেন, সারাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা এবং মন্দিরে মন্দিরে হামলা হচ্ছে। কেউ কেউ এটাকে গুজব বলছে। কিন্তু গুজবই যদি হবে, তাহলে আপনারা মন্দির পাহারা দিচ্ছেন কেন? যেহেতু মন্দির পাহারা দেওয়া হচ্ছে, সেহেতু বুঝা যাচ্ছে মন্দিরে হামলার ঘটনাও ঘটছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের মন্দিরগুলো মুসলিম ভাইয়েরা মিলে মিশে পাহারা দিচ্ছে। এটা দেশের জন্য লজ্জাজনক। একটি স্বাধীন দেশে মন্দির কেন পাহারা দিতে হবে? প্রতিবারই যখন সরকার বদল হয়, তখনই সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন নেমে আসে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যদিয়ে এদেশ নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। তাই আমরা আহ্বান জানাচ্ছি, সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনসহ এদেশ থেকে সকল বৈষম্য দূর করতে হবে।
জেলা হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের সভাপতি প্রদীপ কুমার দাস বলেন, আজকে হিন্দুদের বাড়ীঘরে হামলা চালানো হচ্ছে। তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা দেয়া হচ্ছে। মন্দিরে তালা দেয়া হচ্ছে। কাশীপুরে আমাদের অশোক দার বাড়ীতে হামলা চালানো হয়েছে, শিপন দার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছিলো। পরে বিএনপি ভাইয়েরা তালা খুলে দেয়। আমি তাদেরকে অভিবাধন জানাই। আড়াই হাজারে হিন্দুদের বিভিন্ন বাড়ীঘরে এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালানো হয়েছে। টানবাজারে হিন্দু ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করা হচ্ছে। আমরা সরকারে কাছে দাবি জানাচ্ছি এসবের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। তারা দুষ্কৃতিকারি। তাদেরকে আইনের আওতায় এনে যদি শাস্তি দেওয়া না হয়, তাহলে আমরা এ আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিষ্ণুপদ সাহা, সাধারণ সম্পাদক সুশীল দাস, মহানগর হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের সভাপতি লিটন চন্দ্র পাল, সাধারণ সম্পাদক নিমাই দে, জেলা পূজা পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষ্ণা আচার্য, হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মী।