বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪
সদর

শ্রমিক হত্যার বিচার ও নতুন মজুরি কাঠামো ঘোষণার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের উপর পুলিশী নির্যাতন, গুলি চালিয়ে শ্রমিক হত্যার বিচার ও ২৩ হাজার মজুরি ঘোষণার দাবিতে ‘বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র’র উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (৩ নভেম্বর) বিকেল ৪ টায় নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল ও নবাব সলিমুল্লাহ সড়কের মিশনপাড়ায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক এম এ শাহীন, বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নূরুল ইসলাম, জেলা কমিটির সদস্য সচিব ইকবাল হোসেন, সদস্য আমজাদ হোসেন, তোফাজ্জল হোসেন, মোস্তাকিম ও আরিফ প্রমুখ।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ার কারণে গার্মেন্টস শ্রমিকদের প্রাপ্ত মজুরিতে জীবন ধারণ কঠিন হয়ে পড়ে। যার ফলে সারাদেশের শ্রমিকদের পক্ষ থেকে মজুরি বৃদ্ধির দাবি তুলা হয় এবং নিম্নতম মজুরি ২৩ হাজার টাকা করার দাবি জানানো হয়েছে। সরকার শ্রমিক আন্দোলনের দাবির প্রেক্ষিতে গত এপ্রিল মাসে মজুরি বোর্ড গঠন করেছে। মজুরি বোর্ড নির্ধারিত সময়ের ছয় মাসের মধ্যে নতুন মজুরি কাঠামো নির্ধারণে ব্যর্থ হয়েছে। কারণ মালিকপক্ষ অপকৌশলে সময় কালক্ষেপণ করছে। আবার মজুরি বোর্ডে তাঁদের অযৌক্তিক মজুরি প্রস্তাবনা সারাদেশের শ্রমিকদের ক্ষুব্ধ বিক্ষুব্ধ করে তুলেছে। এর দায়দায়িত্ব মালিকদেরই বহন করতে হবে।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ন্যায্য মজুরির দাবি আদায়ে আন্দোলনরত শ্রমিকদের উপর পুলিশ নির্যাতন করে গুলিয়ে চালিয়ে গাজীপুরের গার্মেন্টস শ্রমিক রাসেল হাওলাদার ও ইমরানকে হত্যা করছে। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় নেতৃবৃন্দ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে শ্রমিক হত্যার বিচারসহ নিহতের পরিবারকে আজীবন আয়ের সমান ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি করেন। তাঁরা আরও বলেন, শ্রমিকদের উপর পুলিশী নির্যাতন ও গুলি চালিয়ে দমন-পিড়ন করে তাঁদের পেটের ক্ষুধার আগুন নেভানো যাবেনা বরং ছড়িয়ে পড়বে। শ্রমিক অসন্তোষের দায় শ্রমিক নেতাদের কাঁধে চাপানোর অপচেষ্টা পরিহার করে দ্রুত শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করে নতুন মজুরি কাঠামো ঘোষণার আহ্বান জানান।

RSS
Follow by Email