শ্রমিক নেতাদের মুক্তি দাবিতে শ্রমিক ফ্রন্টের বিক্ষোভ
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ সিলেট জেলার আহ্বায়ক আবু জাফর এবং রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদ সিলেট মহানগর আহ্বায়ক প্রণব জ্যোতি পাল সহ গ্রেফতারকৃত ৪ জন শ্রমিক নেতার নিঃশর্ত মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে নারায়ণগঞ্জে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি আবু নাঈম খান বিপ্লবের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি সেলিম মাহমুদ, রি-রোলিং স্টিল মিলস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক এস এম কাদিও, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট জেলার সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শরীফ এবং রিকশা ব্যাটারি রিকশা ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদ জেলার সমন্বয়কারী হাসনাত কবীর।
নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করে বলেন, কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল সিলেট মহানগরে রিকশা শ্রমিক সমাবেশ শেষে আবু জাফর ও প্রণব জ্যোতি পাল যখন সংগ্রাম পরিষদ কার্যালয়ে কথা বলছিলেন, তখন পুলিশ কমিশনারের সাথে বৈঠকের কথা বলে তাদের ডেকে নিয়ে কোনো মামলা ছাড়াই বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করা হয়। পরে দ্রুত বিচার আইনে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলায় তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে, যা ‘পুলিশের নিপীড়ক চরিত্রের প্রতিফলন’।
শ্রমিক নেতারা বলেন, সংগ্রাম পরিষদ দীর্ঘ ১২ বছর ধরে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইকের নিবন্ধন, চালকদের লাইসেন্স ও রুট পারমিট প্রদান সহ আট দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে দুটি নীতিমালার খসড়াও তৈরি হয়েছে।
নেতৃবৃন্দ প্রশ্ন তোলেন, এই অবস্থায় সিলেটের পুলিশ প্রশাসন আলোচনার মাধ্যমে সংকটের সমাধান না করে দমন-পীড়ন ও শ্রমিক নেতাদের গ্রেফতার করে নতুন সংকট সৃষ্টি করছে। তারা জানতে চান, প্রশাসন কি শুধুই ব্যাটারি রিকশা উচ্ছেদ করে সড়কে গাড়ি চলাচল সহজ করতে চাইছে, নাকি কোনো সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক বা বাণিজ্যিক গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা অথবা বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের মতো দুর্নীতি-চাঁদাবাজির সিন্ডিকেট ফিরিয়ে আনার চিন্তা করছে?
সমাবেশ থেকে শ্রমিক নেতা আবু জাফর, প্রণব জ্যোতি পাল, সৈকত ও রণি’র নিঃশর্ত মুক্তি এবং দ্রুত বিচার আইনে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। সমাবেশ শেষে শহরের প্রধান প্রধান সড়কে একটি বিক্ষোভ মিছিল প্রদক্ষিণ করে।
