শেখ হাসিনাকে টিপুর প্রশ্ন, ‘আপনার হাত কত রক্তে রঞ্জিত করতে চান
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, বাংলাদেশের বিশ কোটি মানুষকে জিম্মি করে আবার শেখ হাসিনা ক্ষমতা দেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আমি শেখ হাসিনাকে প্রশ্ন করতে চাই আপনার হাত কত রক্ত রঞ্জিত করতে চান। গত ১৬টি বছর আপনার হাতে হাজার হাজার নেতাকর্মীসহ সর্বশেষ পাশে আগস্ট এর আগে সাঈদ-মুগ্ধ – স্বজনসহ কয়েক হাজার ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে কিন্তু আপনি ক্ষান্ত হননি।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল এগারোটায় বন্দরের আওয়ামীলীগের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ২৩নং ওয়ার্ডের একরামপুর থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। বন্দর থানা বিএনপির উদ্যোগে এ মিছিল শেষে এক বক্তব্য এ কথা বলেন এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু।
তিনি আরও বলেন, আমরা মনে করছিলাম ১৬ বছর আপনি যা অপকর্ম ও করেছেন তার জন্য আপনি অনুতপ্ত হবেন কিন্তু তা না করে আপনি নতুন করে আবার দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র করছেন। নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও যুবলীগ শ্রমিকলীগ সহ অঙ্গ সংগঠন দিয়ে আপনি এক মাসের কর্মসূচি দিয়েছেন। আমরা বিগত ১৬ টি বছর রাজপথ আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। গত ৫ই আগস্ট খুনি হাসিনা পতনের পর আমরা মনে করেছি দেশের শান্তিতে বসবাস করবো, আর রাজপথে থাকতে হবে না। কিন্তু খুনি ফ্যাসিস শেখ হাসিনার নতুন চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের কারণে আমাদেরকে আবারও রাজপথে নামতে হয়েছে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রকে হত্যা করতে চায়। আমরা যারা শহীদ জিয়ার আদর্শের কর্মীরা রয়েছি আমরা কিন্তু আমাদের নেতা তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা রাজপথে আছি।
এড টিপু আরও বলেন, আমরা যতদিন না পর্যন্ত এদেশের ২০ কোটি মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে পারবো ততদিন পর্যন্ত এদেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি হবে আমরা রাজপথে আছি রাজপথ ছাড়বে ঘরে ফিরে যাবো না। আমরা দেখেছি বিগত সময় আওয়ামী লীগ যুবলীগ, ছাত্রলী, স্বেচ্ছাসেবক শ্রমিকলী কিভাবে এদেশের মানুষের উপর জুলুম নির্যাতন ও হত্যা গুম করেছিল। আমরা আর আমাদের কোন ভাই-বোনকে হত্যা গুম খুন ও নির্যাতনের শিকার হতে দেবো না। আমরা কোন মায়ের সন্তানকে আর বুক থেকে খালি হতে দেব না কোন বোনকে আর বিধবা হতে দেব না। আমরা চাই এদেশের ২০ কোটি মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে এবং মানুষের বিপদে আপদে তাদের পাশে থাকার জন্য।
টিপু নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা কেউ রাগে অভিমানে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ করে কারো বাড়িঘর ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে হামলা চালাবেন না। শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনা তারা স্বৈরাশাসক ছিল। তাই এ দেশের জনগণ তাদের ছবি ও স্থাপনা ভাঙচুর করে গুড়িয়ে দিয়েছে। সেগুলা সাথে বিএনপির কোন সম্পর্ক নাই। বাংলাদেশের কোথাও শেখ হাসিনা শেখ মুজিবর এর কোন ছবি ও স্থাপনা এদেশের মানুষ দেখতে চায় না কারণ এদেশের মানুষ আওয়ামী লীগের উপর ক্ষোভ কারণ তারা যখনই ক্ষমতায় এসেছে মানুষের উপর যে জুলুম নির্যাতন করেছে তা মানুষ ভুলে যায়নি। নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক শ্রমিকলীগকে নতুন কোন করে কোন অরাজগতা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করতে দিবো না। প্রতিটি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন ও থানা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা আপনারা নিজ নিজ এলাকায় পাহারা দিবেন। আর আওয়ামী লীগ যুবলীগ ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের তালিকা করে প্রশাসনের কাছে কিংবা আমাদের কাছে দিবেন। আপনারা তাদেরকে ধরে পুলিশের হাতে দিবেন, কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না।
বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি শাহেন শাহ্ আহম্মদের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন, প্রধান অতিথি মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, বন্দর থানা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নুর মোহাম্মদ পনেজ, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আহমদ আলী, ২৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাবু, সাধারণ সম্পাদক কাজল আহম্মেদ কালুন, ২৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মনির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাবেদ হোসেন, ২৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. কাজী নজরুল ইসলাম, ২৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিনহাজ মিঠু, হাবিবুর রহমান মাসুদ, সম্রাট হাসান সুজনসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।