সোমবার, নভেম্বর ১৮, ২০২৪
জেলাজুড়েসদর

শীতলক্ষ্যা পাড়ের গাছ রক্ষায় সাইকেল র‍্যালি অনুষ্ঠিত

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: ৩নং ঘাটের গাছ কাটার প্রতিবাদে ‘শীতলক্ষ্যা পাড়ের গাছ রক্ষায় নারায়ণগঞ্জবাসী’র উদ্যোগে সাইকেল র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৯ মার্চ) সকাল ১০টায় এ র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র‍্যালিটি ৩নং মাছ ঘাট থেকে শুরু হয়ে কালিরবাজার থেকে নিতাইগঞ্জ ঘুরে চাষাঢ়া এসে শেষ হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সমন্বয়কারী কবি আরিফ বুলবুল, সদস্য সচিব শুভ দেব, গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ মহানগরের নির্বাহী সমন্বয়কারী পপি রাণী সরকার, উঠান থিয়েটারের সংগঠক শোয়েব মনির, আলোকচিত্র শিল্পী জয় কে রায় চৌধুরী, সংস্কৃতি কর্মী রঞ্জিত কর্মকার, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের জেলার সহ সভাপতি সাইদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সৃজয় সাহা, নভেরা সাইক্লিং গ্রুপের সংগঠক ডা. ফারজানা মৌসুমী, সংস্কৃতি কর্মী অভি জাহিদ সহ প্রমুখ ব্যাক্তিবর্গ।

কর্মসূচি শেষে কবি আরিফ বুলবুল বলেন, শীতলক্ষ্যা পাড়ের গাছ কাটা নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ও মর্মাহত। এই গাছগুলো দীর্ঘদিন ধরে মানুষ আশ্রয় হিসেবে টিকে ছিলো। মানুষ বটের ছায়ায় বসে শরীর জুড়িয়েছে। মাছ ব্যবসায়ীরা সহ এই ঘাটের শ্রমিকরা এখানে শান্তিতে তাদের কার্য সম্পাদন করেছে। এখন গাছ নেই, ছায়াও নেই। সামনে তীব্র গরম আসতে যাচ্ছে। তখন মানুষ কোথায় যাবে। আর শুধু মানুষই নয়, এখানকার গাছগুলো পাখিদের জন্য বড় আশ্রয়স্থল হিসেবে ছিলো। নীড় হারিয়ে তারাও আজ ছন্নছাড়া। এমনিতেই নারায়ণগঞ্জে প্রাকৃতিক পরিচ্ছন্ন কর্মী হিসেবে পরিচিত পাখি কাক আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে। তারপরেও বেশ কিছু কাক নদী তীরের এই গাছগুলোতে আশ্রয় নিয়েছিলো। এখন আশ্রয়ের অভাবে এ কাকগুলোও হারিয়ে যাবে। এটা শহরের এবং নদীর স্বাস্থ্যের জন্য আরও বেশি হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।

তিনি বলেন, সার্বিকভাবে গাছ কাটায় এখানকার পুরো জীববৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা এর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি। গত একুশে ফেব্রুয়ারীর পর থেকে আমরা ৩নং ঘাটের গাছ রক্ষার জন্য ধারাবাহিকভাবে কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছি। আমরা ইতিমধ্যে প্রতিবাদী কর্মসূচির পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট পাঁচটি দপ্তরে স্মারকলিপি দিয়েছি। আজকে আমরা সাইকেল র‍্যালি করলাম। কর্মসূচি করতে গিয়ে আমরা এখানকার স্থানীয় মানুষদের অভূতপূর্ব সাড়া লক্ষ্য করেছি। সকলেই গাছ কাটার বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান ব্যক্ত করেছেন। আমরাও আমাদের বক্তব্য পরিষ্কার করেছি। অবিলম্বে গাছ কাটার এই উদ্যোগ থেকে কর্তৃপক্ষকে সরে আসতে হবে। প্রকল্পের পরিকল্পনা সংশোধন করতে হবে। যে গাছগুলো ইতিমধ্যে কেটে ফেলা হয়েছে তার ক্ষতিপূরণ বাবদ নতুন চারাগাছ রোপণ করতে হবে। নয়তো আমরা আগামীতে বৃহত্তর কর্মসূচির দিকে যাবো।

RSS
Follow by Email