সোমবার, জুন ২, ২০২৫
Led05রূপগঞ্জ

শীতলক্ষ্যায় শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার, ময়নাতদন্তে আঘাতের আলামত প্রকাশ

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: রূপগঞ্জে শীতলক্ষ্যা থেকে উদ্ধার হওয়া শিক্ষার্থী জুবায়ের বিন মোহাম্মদের লাশের শরীলে আঘাতের আলাতম আছে, এটাকে ঢুবে মৃত্যু নয় হত্যা। সম্প্রতি পুলিশের হাতে আসা দশম শ্রেণির এ শিক্ষার্থীর লাশের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে এমনই উল্লেখ করা হয়।

নিহত শিক্ষার্থী জুবায়ের হলো একই উপজেলার ভোলাব ইউনিয়নের চারিতালুক এলাকার তপন মিয়ার ছেলে। সে স্থানীয় ভোলাবো শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়তো।

প্রতিবেদনের বিষয়টি পরিবারকে জানালে শুক্রবার (৩০ মে) থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের মা মিনারা বেগম। এ মামলায় নিহতের তিন বন্ধুসহ চারজনকে আসামি করা হয়।

অভিযুক্তরা হলেন, নিহতের প্রতিবেশী মো. নাঈমের ছেলে শাহীন (২০), গাবতলা এলাকার নাজিরের ছেলে রাব্বি (১৯), একই এলাকার ফারুকের ছেলে সিয়াম (১৯) এবং চারিতালুকের হাছেন আলীর ছেলে আক্তার হোসেন (৩৫)।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, ১৮ এপ্রিল বিকেলে বন্ধু শাহীন ভুক্তভোগী জুবায়েরকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে ওইদিন সন্ধ্যায় ভোলাব গাবতলা এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর দক্ষিণপাড়ে নিয়ে অপর দুইজন মিলে জুবায়েরকে হত্যা করে। তারা জুবায়েরের মাথায় ও বুকে আঘাত করে এবং শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ নদীতে ফেলে দেয়। পরে নিহতের পরিবারকে জানায়, সে নদী পারাপারের সময় পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়েছে। এ প্রচারণায় অংশ নেওয়ায় আক্তারকে আসামি করা হয়েছে। পরদিন সকালে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠায় নৌ পুলিশ।

এ বিষয়ে ইছাপুরা নৌ ফাঁড়ি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) পরিতোষ সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মরদেহ উদ্ধারের পর একটি অপমৃত্যুর মামলা রুজু হয়। ময়নাতদন্তে হত্যার বিষয়টি আসায় হত্যা মামরা রুজু করা হয়েছে। এই মামলার আসামিরা পলাতক রয়েছে। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে।’

RSS
Follow by Email