শিল্প বাঁচলে শ্রমিক-মালিক বাঁচবে: মাসুদুজ্জামান
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর সভাপতি মাসুদুজ্জামান বলেছেন, দুই সপ্তাহ হয় নাই আমি চেম্বারের দায়িত্ব নিয়েছি। আমার উপলব্ধি চেম্বারটা আসলে নারায়ণগঞ্জের জন্য জরুরি না। হাতেম ভাই যদি বিকেএমইএ’র একজন সহ সভাপতি দিয়ে যদি চেম্বারটা পরিচালনা করেন তাহলে হয়তো ভালো হয়। কারণ বিকেএমইএ’র একটি অফিস থাকার কারণে জেলা চেম্বার গুরুত্ব পায় না। এভাবে চেম্বার যদি গুরুত্বহীন হয়ে যায় যে, সরকারের বিভিন্ন পলিসি মেকিং মিটিং থাকেদ; প্রটোকল অনুযায়ী চেম্বারকে ডাকতে হয়। আমাদের প্রানপ্রিয় সংগঠন বিকেএমইএ’র কারণে আমরা অবহেলিত হচ্ছি, আপনারা একটু খেয়াল রাখবেন।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টা থেকে চাষাঢ়ায় অবস্থিত বিকেএমইএ’র কার্যালয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এইসব কথা বলেন।
মাসুদুজ্জামান বলেন, এখানে অনেকে বলেছেন বেতনের সমস্যা। আমার মনে হয় সমস্যা সেটা না। এখানে সমন্বয়ের সমস্যা আছে। ৩০বছর যাবত আমি এই পেশার সাথে জড়িত। আমার কারখানায় ওইধরণের কোন সমস্যা আমি পাই নাই। এখানে মালিকদেরও একটা বড় ভুমিকা আছে। আমরা বাড়ি, গাড়ি বিত্ত-বৈভবের কারণে অনেক সময় শ্রমিকদের কাছ থেকে দুরে সরে যাই। আমরা যদি শ্রমিকদের কাছ থেকে দুরে না সরি, তাহলে আমার মনে হয় শ্রমিকরা আমাদের কাছ থেকে দুরে সুরে যাবে না। আপনারা ম্রমিকদের সাথে সম্পর্ক নাই। মালিকদের অবশ্যই শ্রমিকদের কথা শুনতে হবে, তাদের সাথে কথা বলতে হবে।
তিনি আরও বলে, এখন আন্দোলনের যে ধরণটা শুরু হয়েছে, এটা আমরা আগে দেখি নাই। আমরা দেখেছি ঈদের আগে বেতন-বোনাস নিয়ে কিছুটা অসুবিধা হয়। কিন্তু এখন তো ইদ মৌসুম না। এখন কেনো। একটা কথা সবার বুঝতে হবে, দেশ বাঁচলে আমরা বাঁচবো। শিল্প বাঁচলে শ্রমিক বাঁচবে, মালিক বাঁচবে।
সভার সভাপতিত্ব করেন বিকেএমইএ’র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের সচিব এইচ এম সফিকুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলে- শিল্প পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি মো. সিবগাত উল্লাহ, নারায়ণগঞ্জ শিল্প পুলিশ-৪ এর অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আসাদুজ্জামান, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক, জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার, নারায়ণগঞ্জ জেলার সেনাবাহীনির কমান্ডিং অফিসার লেফটেনেল কর্নেল আতিক ও বিজিএমইএ’র সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম।