শিক্ষা দিবস উপলক্ষে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের নানা আয়োজন
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: শিক্ষা দিবস উপলক্ষে ছাত্র সমাবেশ, মিছিল, পুষ্পঅর্পণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে জেলা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টে। মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) দিনব্যাপী এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এসময় সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক ছাত্রনেতা সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) নারায়ণগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক কমরেড নিখিল দাস, সদস্য সচিব আবু নাঈম খান বিপ্লব, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক ধীমান সাহা জুয়েল, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ছাত্রনেতা মুক্তা বাড়ৈ, অর্থ সম্পাদক সুলতানা আক্তার, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক নাছিমা সরদার, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রাতুল, সরকারি তোলারাম কলেজের সংগঠক ইফতি আহম্মেদ জিহাদ, সরকারি মহিলা কলেজের সংগঠক সাবিনা ইয়াসমিন, নারায়ণগঞ্জ কলেজ শাখার সংগঠক তাহসান ইসলাম, সরকারি কদম—রসুল কলেজের সংগঠক রাকিবুল ইসলাম রবিন, বন্দর থানা সংগঠক নাফসিন জিসান, প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, সরকারি তোলারাম কলেজ সহ সকল কলেজের নিয়মিত ক্লাস, শিক্ষক সংকট, লাইব্রেরী—ল্যাবরেটরির মান উন্নয়ন, সকল কলেজের ছাত্র—সংসদ নির্বাচন ও গণপরিবহনে ছাত্রদের হাফ ভাড়া চালু করা সহ নারায়ণগঞ্জে পূর্ণাঙ্গ স্বায়ত্বশাসিত পাবলিক বিশ^বিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ দ্রুত নির্মাণ করাসহ বিভিন্ন দাবীতে ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বক্তারা আরও বলেন, ১৯৬২ সালে পাকিস্তানের শিক্ষা সচিব এস এম শরীফের নেতৃত্বে গঠিত শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটি তার
রিপোর্ট পেশ করেন। শিক্ষা বাণিজ্যিকীকরণকে অবারিত করতে রিপোর্টে সুপারিশ করা হয়েছিল। ‘সস্তায় শিক্ষা লাভ করা যায় বলিয়া তাহাদের যে ভুল ধারণা রহিয়াছে, তা শীঘ্রই ত্যাগ করিতে হইবে’। যেমন দাম তেমন জিনিস। এই অর্থনৈতিক সত্যকে অনন্য ব্যাপারে যেমন— শিক্ষার ব্যাপারে তেমনি এড়ানো দুষ্কর। এই শিক্ষা নীতি বাতিলের দাবীতে ১৯৬২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর আহ্বান করা হয় সর্বত্র হরতাল। সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় কলাভবনের সামনে থেকে হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও জনতা মিছিল শুরু করেন। পুলিশ দফায় দফায় মিছিলে হামলা করে, গুলি চালায়। ঢাকায় শহীদ হন বাবুল (ছাত্র), ওয়াজিউল্লাহ্ধসঢ়; (গৃহভিত্যা), টঙ্গীতে শ্রমিকদের মিছিলে গুলি চালালে শহীদ হন সুন্দর আলী নামের একজন শ্রমিক। ছাত্র—জনতার সম্মিলিত প্রতিরোধে আইয়ুব সামরিক জান্তার এই শিক্ষা নীতি বাস্তবায়ন থেকে পিছু হটে। কিন্তু স্বাধীন দেশে স্বাধীনতার ৫৩ বছর পার হওয়ার পরও ‘টাকা যার শিক্ষা তার’ শিক্ষা নীতিতেই বহাল রয়েছে। শিক্ষার প্রধান ধারাই এখন বেসরকারি ধারা। এই ৫৩ বছরে অনেকগুলো শিক্ষানীতি প্রণয়ন হলেও জনমানুষের সার্বজনিন বৈষম্যহীন বিজ্ঞানভিত্তিক একই ধারার শিক্ষা দাবী আজ সময়ের দাবী।