বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪
Led02Led03জেলাজুড়েরাজনীতি

শামীম ওসমান-হুইপ বাবু অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ১৮ কোটি টাকার ফ্ল্যাট দখল

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: সংগীতশিল্পী ইভা রহমানের দখল হওয়া দুই ফ্ল্যাট উদ্ধারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সহযোগীতা কামনা করেছেন। তার অভিযোগ, সন্তানকে অস্ত্রের মুখে জীবননাশের হুমকি দিয়ে জোর করে তার দুটি ফ্ল্যাট দখলে নেওয়া হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ সাবেক এমপি শামীম ওসমান ও সাবেক হুইপ নজরুল ইসলাম বাবু ও আওয়ামী লীগের শাসনামলে সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম বাবুর অর্থ যোগানদাতা ফকির আক্তারুজ্জামানের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক দখল ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন ইভা রহমান।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) গুলশান থানায় মামলাটি দায়ের হয়। মামলা নং- ৭/২০৯। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ড. কাজী এরতেজা হাসান (৬৪), মফিজুল ইসলাম (৬৫), মোঃ রিপন (২৭)।

মামলার এজহারে উল্লেখ করেন, গুলশান ২, রোড নং-৪৪, বাসা নং-৬/বি ১০তলা বিশিষ্ট একটি ভবন আছে। যার প্রতিটি ফ্ল্যাট ৪৫০০ বর্গফুট করে ও ফ্ল্যাটের মূল্য-৯ কোটি টাকা। গত ১৩ নভেম্বর ২০১৭ সালে রাতে ফকির আক্তারুজ্জামান, সাবেক হুইপ নজরুল ইসলাম বাবু,শামীম ওসমান, মফিজুল ইসলাম ও মো. রিপনসহ অজ্ঞাতনামা ৫০/৬০ জন ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলার দুইটি ফ্ল্যাট ক্রয়ের কথা বলে জোর পূর্বক অনুমানিক ১৮ কোটি টাকার ফ্ল্যাট দুইটি ৯২ লাখ টাকা দিয়ে আমাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দখল করে নেয়। পরে সম্পূর্ণ ভাবনটি দখল করে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন সময় প্রাণ নাশের হুমকীসহ বিভিন্ন ধরণের ভয়ভীতি দেখায়। গত ২০২১ সালে সোহেল আরমান এর সহিত আমার বিবাহ হলে বিবাদীগ আরো বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে পরে। ২৫ এপ্রিল ২০২২ সালে বিকালে অভিযুক্তরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমার বাড়ীতে অনধিকার প্রবেশ করিয়া আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এক পর্যায়ে তারা আমাকে ও আমার স্বামী সোহেল আরমান এর শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথারী ভাবে মারপিট করিয়া নিলাফুলা জখম করে এবং বাড়ী ছেড়ে বিদেশে যাওয়ার জন্য হুমকী প্রদান করেন। এই ঘটনার বিষয়ে আমি ড. কাজী এরতেজা হাসান কাছে সহযোগীতার জন্য গেলে সে আমাকে, ওই ঘটনার বিষয়ে সহযোগীতা করবে বলে। তিনি আমার কাছ থেকে পর্যায়ক্রমে নগদ ৫ কোটি ৬৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকা গ্রহণ করে। কিন্তু কোন প্রকার সহযোগিতা না করে বিশ্বাসভঙ্গ করিয়া প্রতারণা মূলক ভাবে উল্লেখিত টাকা আত্মসাৎ প্রান নাশের হুমকী প্রদান করে এবং ১নং বিবাদীর কথামত ১নং বিবাদীকে বর্ণিত বাড়ীটি লিখে দিয়ে দেশ ছেড়ে পালানোর জন্য হুমকী প্রদান করেন।

এক সংবাদ সম্মেলনে ইভা রহমান বলেন, ফকির আকতারুজ্জামান ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনার খুব কাছের লোক হওয়ায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ যত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আছে সব জায়গায় বিষয়টি জানালেও কোন প্রতিকার পাইনি। উল্টো ফকির আকতারুজ্জামান আমাকে ও আমার পরিবারকে জীবননাশের হুমকি এবং বিভিন্ন মিথ্যা মামলার ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। এমতাবস্থায় আমি ও আমার পরিবার জীবন বাঁচানোর জন্য তিন মাস বাড়িতে না থেকে বাড়ির বাইরে পালিয়ে থাকি। এই সময়ে আমার ছেলে স্কুলে যেতে পারেনি।

সংগীতশিল্পী ইভা রহমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে বলেন, আমি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ সকল ছাত্র সমন্বয়কদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, আওয়ামী লীগের অর্থ মজুতকারী ও ভূমিদস্যু ফকির আকতারুজ্জামানসহ স্বৈরাচারের অর্থ লুণ্ঠনকারী দোসরদের আইনের আওতায় এতে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে আমার ফ্ল্যাট দুটি আমাকে বুঝিয়ে দেওয়া হোক।

RSS
Follow by Email