শামীম ওসমান একজন প্রতিহিংসা পরায়ন ও হিংসুটে রাজনীতিবীদ: টিপু
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে নারায়ণগঞ্জে ‘শহীদ জিয়া হলে’র সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানে মূর্যাল। বিএনপি’র নেতাদের অভিযোগ রাতের আধাঁরে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের নির্দেশে ওই মূর্যাল ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি’র সদস্য সচিব এড. মো. আবু আল ইউসুফ খান টিপু। এছাড়া তিনি ও তার নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এড. মো. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, নারায়ণগঞ্জে প্রাণকেন্দ্র জিয়া হলে পবিত্র রমজান মাসে, রাতের আধারে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মূর্যাল ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। এতে আমরা মর্মাহত, দুঃখিত, ব্যাথিত এবং ক্ষুব্ধ। জিয়াউর রহমানের মূর্যাল ভেঙ্গে মানুষের হৃদয় থেকে মুছে ফেলা যাবে না। ১৯৭১ সালে ২৬ মার্চ পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে উনিই প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিনি নিজ হস্তে যুদ্ধ করেছেন। উনি ক্ষমতায় থেকে বাংলাদেশকে তলা বিহীন ঝুড়ি থেকে একটি উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিনত করেছেন।
তিনি আরও বলেন, কিছুদিন আগে সংসদের দাঁড়িয়ে নারায়ণগঞ্জে গডফাদার সংসদ সদস্য শামীম ওসমান প্রমাণ দিয়েছে যে উনি আসলেই গডফাদার। উনি প্রতি হিংসা পরায়ন, শান্তিপূর্ণ কাজ করতে পছন্দ করেন না। উনি রাতের অন্ধকারে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে জিয়াউর রাহমানের মূর্যাল কেটে সন্ত্রাসীর পরিচয় দিয়েছেন। শামীম ওসমান শান্তিুপূর্ণ নারায়ণগঞ্জকে অশান্ত করতে চায়। নারায়ণগঞ্জে বিএনপি ক্ষমতায় ছিলেন, আমরা কোনদিন শেখ মুজিবর রহমানের কোন ছবিতে হাত দেইনি। আজকে উনার এই কর্মকান্ডে তীব্র নিন্দা জানাই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে এড. মো. আবু আল ইউসুফ খান টিপু লিখেছেন-
পাঠকের সুবিধার জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-
নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রাণ কেন্দ্রে “শহীদ জিয়া” হল থেকে গতকাল রাতে অন্ধকারে নাঃগঞ্জের চিহ্নিত গড ফাদার শামীম ওসমান এমপি’র নির্দেশে শহীদ জিয়া’র ছবির মূর্যাল ভাঙ্গাার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং অভিলম্ব তা যথাযথ স্হানে পূনঃস্হাপনের জোর দাবী জানাই। নাঃগঞ্জ প্রশাসনের ও সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করে বলতে চাই “শহীদ জিয়া” হল থেকে শহীদ জিয়া’র মূর্যাল ভেঙ্গে ফেলায় তার প্রতিবাদে শহরে কোন উদ্বূদ্ব পরিস্হিতি সৃষ্টি হয়, তা প্রশাসন, আওয়ামী লীগ ও গডফাদার শামীম ওসমানকেই বহন করতে হবে। শামীম ওসমান একজন প্রতিহিংসা পরায়ন ও হিংসুটে রাজনীতিবীদ,তার দ্বারা অহিংস ও শান্তিপূর্ণ রাজনীতি মোটেই করা সম্ভব নয়।তিনি পবিত্র মাহে রমজানে সংযমের মাসেও যিনি প্রতিহিংসার কারণে রাতের অন্ধকারে সন্ত্রাসের আশ্রয় নিয়ে শহিদ জিয়ার মূর্যাল
ভেঙ্গেছে তার জবাব তাকে একদিন, না একদিন দিতেই হবে। শহীদ জিয়া’র মূর্যাল ভেঙ্গে ২০ কোটি মানুষ ও নাঃগঞ্জবাীসর হৃদয় থেকে শহীদ জিয়া’র নাম ও ছবি মূছে ফেলা যাবে না।এটা গডফাদার শামীম ওসমানের রাজনৈতিক স্ট্যান্ডবাজি, তার নেত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করার জন্য উনি মাঝে মাঝে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত সন্ত্রাসী আচরণ করে থাকে। আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে যদি শহীদ জিয়া’র মূর্যাল চাষাড়া শহীদ জিয়া হলে পূনঃস্হাপন না করা হয়, তাহলে আমরা নাঃগঞ্জ বাসীকে নিয়ে বহত্তর কর্মসূচী দিতে বাধ্য হবো